#গল্প_100_শত_তম_ক্রাশ_২য়_এবং_শেষ_পার্ট
১পার্ট,, টা,,আমর টাইমলাইনে আছে, না পড়লে ওখান থেকে পড়ে নিতে পারেন,,,
- আবির নীলকে কল দিলো,
- কিরে নীল কই তুই?
- আমি ত মেসে তুই কই?
-এ বেটা তাড়াতাড়ি আয় আমাদের কলেজের পাশে একটা রেস্টুরেন্ট আছে না?ওখানে,
- আমি তুর ফিউচার ভাবি, আর তুর ফিউচার বউ কে নিয়ে রেস্টুরেন্টে আছি,
- বলছিলি ত সাকিব আল হাসানের রেস্টুরেন্টে খাওয়াবি, আজকে এটাতেই এসে খাওয়া, এই বলেই আবির কল কেটেদিলো,
- নীল দ্রুত মেস থেকে বের হয়ে রেস্টুরেন্ট এর সামনে উপস্থিত হলো,
রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে কল দিলো
কিরে আবির তুই কই?
আমি রেস্টুরেন্ট সামনে দাঁড়িয়ে আছি,
- আবির রেস্টুরেন্ট এর সামনে এসে নীলকে ভিতরে নিয়ে গেলো! তারপর নীলকে আবির সোনালি আর আবিরের গফ এর সাথে আলাপ করিয়ে দিলো,,,
- নীল তারপর সোনালির সাথে ফ্রেন্ডলি হবার চেষ্টা করলো, কিছুদিনের ভিতর এই নীল আর সোনালি অনেক ভালো বন্ধু হয়ে যায়, প্রায় ১বছর নীলের সাথে সোনালির বন্ধুত্বের সম্পর্ক, - এই ১বছরে নীল সোনালির সাথে অনেক যায়গায় ঘুরেছে, নানাভাবে সোনালি কে বুঝানোর চেষ্টা করেছে যে নীল সোনালি কে ভালোবাসে,
- কিন্তু সোনালি বুঝেও কিছুই নীল কে বুঝতে দিতোনা, ও নীল কে ভালোবাসত কিন্তু প্রকাশ করত না, কারণ সোনালির যে কাওকে ভালোবাসতে বারণ, নীল ঠিক করে সোনালি কে প্রপোজ করবে,
- তাই সোনলি কে কল দিল????
- হাই সোনালি কি করো? কালকে কি তুমি একবার আমার সাথে দেখা করতে পারবে?
- কোথায় আসতে হবে? আর কখন আসতে হবে?
- তুমি এই ঠিকানায় এসো, ঠিক বিকাল ৪টায়, আর শুনো তুমি নীল রঙয়ের শাড়ি পরে এসো
- আচ্ছাহ আসবো,
কালকে দেখা হবে,
- এখন রাখি, আম্মু ডাকতেছে,
- খোদা হাফেজ,
এই কথা বলেই সোনালি ফোনটা কেটে দিলো এবার নীল আম্মুকে ফোন দিলো,
- আম্মু কেমন আছো?
- আব্বু কেমন আছে? -সবাই ভালো আছে, কয়দিন পর ফোন করলি? আমি ফোন করলে কি তর ফোনটা ধরার ও সময় হয়না?
-সরি আম্মু এখন থেকে নিয়মিত কল দিবো,
- কিরে আজ আবার হলো কি তুর?
টাকা লাগবে?
- জি আম্মু আমার কাছে ত এখন একবারে টাকা নাই তাই কিছু টাকা দরকার ছিলো,
- আচ্ছাহ আমি বিকাশে পাঠিয়ে দিবো একটু পর, আর কথাটা মনে রাখিস নিয়মিত ফোন করিস,
- ওকে আম্মু খোদা হাফেজ
- নীল সেদিন রাতে আগামীকাল কি ঘটবে সেটা ভাবতে ভাবতে রাত টায় আর নীলের ঘুম ভাঙলো দুপুর ১টায়, নীল ঘুম থেকেই ডঠেই দাত ব্রাশ করে, গোসল করে নিলো, তারপর সোনালি কে ফোন করলো?
- তুমি আসছো তো?
-হ্যা ঠিক টাইমে চলে আসবো তুমি টেনশন করােনা,
- এই কথা বলে সোনালি ফোনটা কেটে দিলো,
নীল আবার মেসেজ দিয়ে বলে দিলো "
মনে করে নীল রঙ এর শাড়ি পরে এসো"
- সোনালি ভাবলো যুদি নীলের কথা মত নীল রঙের শাড়ি পরে দেখা করতে যাই, তাইলে হয়ত নীল ভাববে আমি নীলকে ভালোবাসি, সোনালির ইচ্ছা থাকলেও নীল শাড়ি পরে নীলের সাথে দেখ করতে গেলোনা.
- অন্যদিকে নীল 'নীল রঙের' পাঞ্জাবি পড়ে
- সোনালির জন্য বসে অপেক্ষা করতে লাগলো, নীল যাওয়ার সময় একটা লাল গোলাপ সাথে কিনে নিয়েগেলো, নীল অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে সোনালি কে ফোন দিলো?
- হ্যালো সোনালি তুমি কোথায়,
- আমি প্রায় 1 ঘন্টা হলো বসে আছি
- আর ১০মিনিট অপেক্ষা করো আমি আসছি,
নীল বসে রইলো,
- লক্ষ করলো সোনালি আসছে,
কিন্তু সোনালি নীল রঙের শাড়ি পড়ে আসে নাই,
- তোমাকে না বলেছিলাম নীল রঙের শাড়ি পরে আসতে?
- আমার না নীল রঙের কোন শাড়ি নাই,
- লাল রঙে কি খুব বাজে লাগছে?
- নাহ তেমন কিছুনা, তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে, আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই, তুমি কি একটু দাড়াতে পারবে?
- নীল হাটুগেরে বসে বললো-
- জানো সোনালি আমার আকাশে কোন তারা জ্বলে না,
- তুমি কি আমার আকাশের তারা হবে?
- আমি তোমাকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম সেদিন থেকেই তোমায় ভালোবাসি, আমি জানি তুমি এগুলো পছন্দ করো না, তুমি কি আমায় বিয়ে করবে? আমি বাকি জীবনটা তোমার সাথে কাটাতে চাই!
- সরি নীল আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারবো না,আমার ছোটবেলায় বাবা-মা বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলো,
- আমি আমার বাবা-মাকে কষ্ট দিয়ে তোমায় ভালোবাসতে পারবোনা, আর তোমাকে আমি শুধু বন্ধু ভাবতাম এর চেয়ে বেশিকিছু ভাবতাম না,
- তোমার মত হাজারটা ছেলে আমার পিছনে লাইন দিয়ে থাকে আমার সাথে একবার কথা বলার জন্য, আর তুমি কিনা ছি তোমার সাথে আমার ফ্যামিলি স্ট্যাটাস ও মিলে না,
- আর কখনো আমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করবেনা, এই বলে সোনালি চলে গেলো
- কথাটি শুনার সাথে সাথে নীলের মাথায় যেনও আকাশ ভেঙে পড়লো, নীল কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে, সোনালি চলে যায় কারণ সোনালি জানে নীল আর কিছু বলতে পারবেনা, - নীল গোলাপ টা সেখানে ফেলে দিয়ে সেদিন এই গ্রামের বাড়ি ফিরে যায়,
- প্রায় 2মাস পর আবার যখন শহরে ফিরে, এরপর আর কোনোদিন সোনালির সাথে দেখা হয়নি নীলের,
- শহরে ফিরেই আবীর কে ফোন করলো
-কিরে কই তুই?
- এতদিন পর আমার কথা মনে পড়লো? কোথায় ছিলি তুই?
-তুর নাম্বারটা বন্ধ ছিলো কেনো এতোদিন? - সময় পেলে আমার মেসে একটু আশিস
একটু পর আবীর মেসে আসলো,
-নীল যখনি আবির কে বলতে যাবে,
- আবির বললো, - কিছু বলতে হবেনা, সবকিছু আমি জানি, সামনে পরিক্ষা এইসব কিছু ভূলে মনোযোগ দিয়ে পডালেখা কর.
-আবীর লক্ষ করলো নীল ওর কোন কথাই না শুনে ধূমপানে মগ্ন,
"কিরে নীল তুই ধূমপানকারীর লিস্টে নিজের নামটা কবে থেকে যোগ করলি,
-এসব ত তুই পছন্দ করতিনা?
- তাইলে এখন কেনো ধূমপান করতেছিস? -আবির আগে ধূমপান করিনি বলে যে এখন করতে পারবোনা? এর কি মানে আছে? সোনালির সাথে যেদিন শেষদিন দেখা হয়েছিলো তারপর থেকেই এই সিগারেট এই আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড, সিগারেট ছাড়া নিজেকে খুব একা মনে হয়, বাকিটা জীবন এইভাবে কাটাতে হবে!
- আচ্ছাহ নীল তুর বদ অভ্যাস আমি ছাড়াতে পারবো না, এই চিঠিটা সোনালি আমাকে দিয়েছিলো তুকে দিতে,
- সোনালি আর এই পৃথিবীতে নাই, কিছুদিন আগেই মারা গেছে, ওর ব্লাড ক্যান্সার ছিলো, আমি যাইরে, ইচ্ছা হলে কলেজে আশিস,
-আবির এই কথাটা বলেই চলেগেলো,
-নীল এই কথাটা শুনার পর সাথে সাথে ওর হাত থেকে জ্বলন্ত সিগারেট টা নিজের পায়ে পরলো, নীল কিছুই বুঝতে পারলো না, নিজের পা যে পুড়ে যাচ্ছে সেটাও বুঝতে পারলোনা, শুধু হাও মাও করে কাঁদতে কাঁদতে চিঠিটা পড়তে লাগলো
"জানো নীল আমি জানতাম তুমি আমাকে ভালোবাসো, আমি প্রথমদিন এই তোমায় লক্ষ করেছি তুমি টানা ১০মিনিট আমার দিকে তাকিয়েছিলে, জানো নীল আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসতাম, কিন্তু প্রকাশ করতাম না, - তুমি হয়ত আমায় ভালোবেসে যখন জানতে পারতে আমার ব্লাড ক্যান্সার তখন হয়ত ভাবতে আমার জন্য তোমার জীবন নষ্ট হয়েছে,
- সেদিন আমার কারণে হয়ত অনেক কষ্ট পেতে, আমি কোনদিন চাইনি তুমি আমার জন্য কষ্ট পাও, আমি চেয়েছি তুমি আমাকে ঘৃণা করো, কারণ একমাত্র ঘূণা করলেই তুমি আমাকে ভূলতে পারবে, জানো নীল তোমাকে নিয়ে আমারও স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছা করত,
- কিন্তু তখনি নিজের অসুস্থতার কথা মনে হত, তাই ইচ্ছা থাকার পরেও তোমায় ভালোবাসতে পারতাম না,
- জানো নীল ভালোবাসা ঠিক ততক্ষণ সুন্দর যতক্ষণ আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসি বলতে পারিনা,
-জানো আমি সেদিন কেনো নীল শাড়ি পড়ে যাইনি কারণ আমি তোমার ঘূণার কারণ হতে চেয়েছিলাম, আমি তোমাকে সেদিন মিথ্যা বলেছিলাম যে আমার ছোটবেলা থেকেই বিয়া ঠিক করা, যে মেয়ের জন্ম থেকেই ব্লাড ক্যান্সার সেই মেয়েকে কে বিয়ে করতে যাবে?
- আর আমি বিয়ে করলে তোমাকেই করতাম, তুমি হয়ত সেদিন লক্ষ করােনি যে আমার চোখে জ্বল ছিলো,
- তুমি তখন নিজের কষ্ট নিয়েই অনেক ব্যস্ত ছিলে আমার কষ্ট বুঝতে তুমি চেষ্টা করোনি,
- আমি সেদিন অনেক কেঁদেছিলাম,
- আমারো তোমার সাথে বাচতে খুব ইচ্ছা করছিলো তোমার আকাশের তারা হবার ইচ্ছা ছিলো, তুমি ভালো থেকো নীল'
নীল কি করবে বুঝতে না পেরে আগের থেকেও চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো।
- সেদিন কেও নীলের কান্না শুনেনি।
নীল সিগারেটের প্যাকেট টা নিয়ে রাস্তায় সিগারেট টানতে টানতে হাটতে লাগলো,
- হঠাৎ করে হাত থেকে সিগারেট টা রাস্তায় পরে যায়,
-নীল সিগারেট টা তুলতে যাবে এমন সময় একটা ট্রাক নীলকে ধাক্কা দিলো,
- নীলের লাল রক্তে রাস্তাটা লাল হয়েগেলো, তারপর আর নীলের কোন খবর কেও বলতে পারেনি,,,,
●▬▬▬▬๑۩The End۩๑▬▬▬▬●
●▬▬๑۩লেকখঃ কষ্টের ফেরিওয়ালা۩๑▬▬●
সম্পূর্ন লেখাটুকু পড়ারজন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। পরবর্তী আমার লেখা আরো গল্প পড়ার জন্য আমন্ত্রন রইলো।
গল্পটা কেমন হয়েছে কমেন্ট এ জানাবেন প্লিজ।
ক্ষুদ্র লেখক তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন..
,, সবাই ভালো থাকবেন, খোদা হাফেজ,,
আরো নতুন নতুন গল্প, কবিতা,জোকস পড়তে চাইলে আমার সাইটে ভিজিট করুন
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz