#Devil_Queen
writer - তানিশা
part - 1
আবির : কাব্য please... আজ অনেক দিন পর আমরা সব বন্ধুরা একসাথে হবো।
কাব্য : তুই দেখছিস না আমি অফিসের কাজে ব্যস্ত। ( ল্যাপটপে কাজ করতে করতে )
আবির : আজকেই next time... তোকে কখনো আমাদের বাসায় যেতে বলবো না।
কাব্য : promise... ( আবিরের দিকে তাকিয়ে )
আবির : God promise...
কাব্য : ok done... আমি সন্ধায় যাচ্ছি।
আবির : thanks yar... ( জড়িয়ে ধরে )
কাব্য : আচ্ছা bye... party তে দেখা হচ্ছে।
আবির : তুই কি আমাকে তারিয়ে দিচ্ছিস?
কাব্য : তোর কারনে আমার কাজে অনেক disturb হচ্ছে। ( চোখ রাঙ্গিয়ে )
আবির : আমি তোকে disturb করছি? এমনটা বলতে পারলি?
কাব্য : হুম বলছি তো?
আবির : এমন একদিন আসবে যখন তুই আমাকে disturb করবি। আমার পিছনে ঘুরঘুর করবি আমার বাসায় যাওয়ার জন্য। তখন দেখবি,,
কাব্য : আমি কেন ঘুরঘুর করবো? ( ভ্রু কুচকে )
আবির : জানিনা। এটা আমার অভিশাপ।
কাব্য : whatever...
--- সন্ধায় আবিরের বাসায় তার ছোট বোন আনহার জন্মদিনের আয়োজন চলছে। অনেক বড়সড় করে পার্টি দিয়েছে আবির। মেহমান চলে এসেছে। কাব্য ব্যাক টিশার্ট, ব্লু জিন্স পরে পার্টিতে চলে এসেছে। এমনিতে কাব্য যেকোনো মেয়ের ক্রাশ আজ মনে হচ্ছে একটু বেশি ভালো লাগছে। কাব্যর বন্ধুরা একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে আর কাব্য মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। হঠাৎ তার এক বন্ধু বলে উঠলো,,,
পলাশ : দোস্ত মেয়েটা কে,,রে?
আবির : কোনটা?
পলাশ : আরে ঐ যে মেয়েটা কেক সাজাচ্ছে।
আবির : ঐটা আমার মামাতো বোন তানিশা। ভহলেও ওর দিকে নজর দিসনা, তোকে আলুর পরটা বানিয়ে তেলে ভাজবে। তুই নিজের নাম ভুলে যাবে কারন তোকে কি নামের উপাধি দিবে তার ঠিক নেই। ও যা পরিমাণ পাজি মেয়ে
পলাশ : really...??
আবির : হুম, ছেলেরা ৫০ হাত দূরে থাকে ওর কথা শুনলো। বিশ্বাস না হলে কথা বলে দেখ।
পলাশ : ok...
--- কথাটা শুনে কাব্য মেয়েটার দিকে তাকালো। কপালের চুল গুলো মুখের একপাশে পরে আছে, চেহারাটা ভালভাবে দেখা যাচ্ছে না। খোলা চুল গুলো কোমড় পর্যন্ত পরে আছে, ফর্সা গায়ের রং। একটা খয়েরি গাউনের সাথে সিলভার কালার স্টোনের ব্রেসলেট পরেছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে মেয়েটা অনেক কিউট। কাব্য একনজর তাকিয়ে আবারো মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরলো। এর মধ্যে একটা মেয়ের গলার আওয়াজ শুনে কাব্য সামনে তাকালো,,,
তানিশা : ভাইয়া এটা কে? ( আবিরকে )
আবির : এটা আমার বন্ধু পলাশ।
তানিশা : তো আপনি পলাশ ভাইয়া, আমি আবির ভাইয়ার বোন মানেই আপনার বোন। কারন বন্ধু মানে ভাইভাই। আপনার ভাইয়ার বোন মানে আপনার বোন। বুঝতে পারছেন? অবশ্য না বুঝলে আমার কাছে অনেক পদ্ধতি আছে আপনাকে বুঝানোর।
পলাশ : কি পদ্ধতি?
আবির : তানিশা please... আজকে না, অন্য একদিন।
তানিশা : ওকে ভাইয়া। ( বলেই এক গাল হাসছে )
--- তানিশা হাসছে আর কাব্য মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে তার হাসির দিকে। এক অদ্ভুত মায়া জড়িয়ে আছে এই হাসির মাঝে। কাব্য এতক্ষণে খেয়াল করেছে খয়েরি রঙ্গের গাউনে মেয়েটাকে একটা পরির মতো লাগছে। ভালো লাগার মতো একজন। এতটা কিউট লাগছে যে কাব্য নিজে থেকে তার সাথে কথা বলতে লাগলো,,,
কাব্য : Hi I'm Nahil Mahmud Kabbo...
তানিশা : ভাইয়া আমি তানিশা ইসলাম তুলি।
কাব্য : hay listen... আমি তোমার ভাইয়া না। because আবির আমার ভাই না।
তানিশা : বন্ধু মানে ভাইভাই। তাইনা?
কাব্য : absolutely wrong... best friend... কখনো ভাই হয়না। বন্ধুদের সাথে সবকিছু share করা যায়, যেটা ভাইদের সাথে কখনো করা যায় না। কারন ভাইদের respect করতে হয়। I hope that you understand....
তানিশা : হুম, কিন্তু আমি তো আপনার ছোট বোনের মতো। তাইনা?
কাব্য : আবার ভুল,, রক্তের সম্পর্ক ছাড়া বিপরীত লিঙ্গ কখনো ভাই বোন হয়না। is that clear...??
তানিশা : মানে?
কাব্য : মানে আমি কেন তোমাকে আমার বোনের চোখে দেখতে যাবো? সবাইকে যদি বোন বানাতে শুরু করি, তাহলে বৌ বানাবো কাকে?
তানিশা : এ্যা ( ভ্যাবাচেকা খেয়ে )
কাব্য : এ্যা না, হুম ( মুচকি হেসে )
তানিশা : কেক কাটার সময় হয়ে গেছে আমি আসছি।
--- তানিশা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে, কাব্যর সাথে কথায় পেরে উঠবে না। কোনো রকমে এখান থেকে কেটে আনহার কাছে চলে গেলো। কাব্যর সব বন্ধুরা তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,,
কাব্য : what...!! তোরা সবাই আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
নিলয় : ভাই তুই ঠিক আছিস তো?
কাব্য : আমার আবার কি হবে?
পলাশ : না মানে হঠাৎ নিজে থেকে মেয়েটার সাথে কথা বললি যে?
কাব্য : তো!! কি হয়েছে?
পলাশ : তোকে তো কারো সাথে নিজে থেকে কথা বলতে দেখিনা। তাই আমরা ভাবছি তোর মাথায় কোনো problem হলো নাকি?
কাব্য : I'm all right... ok... so just relaxed...
--- তানিশা এমনিতে অনেক দুষ্ট। কেক কাটা হয়ে গেলে তানিশা হাতে কেক নিয়ে একটু একটু করে সবার গালে লাগিয়ে দিতে লাগলো। কাব্য মোবাইলে কথা বলছিল হুট করে তানিশা সবার মতো কাব্যর গালে কেক লাগিয়ে চলে যেতে লাগলে। কাব্য ফিরে দেখে তানিশা ওমনি তার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে। কাব্য রাগী চোখে তানিশার দিকে তাকিয়ে আছে আর তার বন্ধুরা তার দিকে। কারন কাব্য মোটেও এসব পছন্দ করেনা। কাব্য মোবাইলে কথা শেষ করে তানিশাকে রাগী গলায় বলতে লাগলো,,,
কাব্য : how dare you... তোমার সাহস হলো কি করে আমাকে কেক লাগনোর?
তানিশা : so,,so,,sorry.. ( কাঁপা কাঁপা গলায় )
কাব্য : I don't want your sorry... so just clean it... right now... ( দাঁতে দাঁত চেপে )
--- কথাটা বলার সাথে সাথে তানিশা কাব্যর সামনে থেকে উধাও। কাব্যর রাগী চোখ দেখে তানিশার গলার সাথে কলিজাও শুকিয়ে গেছে। রান্নাঘরে গিয়ে ঢকঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলো। আবির কাব্যর সামনে একটা টিস্যু এগিয়ে ভয়ে ভয়ে বলল,,,
আবির : sorry... দোস্ত আসলে আমার বোনটা অনেক পাজি। তুই কিছু মনে করিস না, আমি পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
কাব্য : তোর বোনকে বল আমার মেজাজ গরম হওয়ার আগে কেকটা পরিষ্কার করতে। ( প্রচন্ড রেগে )
আবির : মেজাজ কি আরো গরম হওয়ার বাকি আছে নাকি?
কাব্য : তোকে যেটা বলেছি সেটা কর।
--- আবির পুরো বাসায় খোঁজে তানিশাকে রান্নাঘরে পেলো,,,
আবির : বোন ভালো থাকতে কাব্যকে sorry বলে কেকটা পরিষ্কার করে দে,,
তানিশা : ভাইয়া আমি কি আর জানতাম নাকি ঐ বজ্জাতটা যে আস্ত একটা devil...!! যেভাবে ডাইনোসরের মতো আমার দিকে তাকিয়েছে! party শেষ হওয়ার আগে আমি আর রান্নাঘর থেকে বের হচ্ছি না।
আবির : কথা না বাড়িয়ে চল। ও যা পরিমাণ রাগী। তুই যতক্ষণ নিজের হাতে কেক পরিষ্কার না করবি, ততক্ষণ পর্যন্ত ও এই বাসা থেকে এক পা নড়বে না।
তানিশা : কিন্তু ভাইয়া? ( কাঁদোকাঁদো গলায় )
আবির : কিছু হবেনা, আমি আছি।
--- তানিশা কোনো উপায় না পেয়ে কাব্য সামনে গেলো। ভয়ে মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে তার। একটা টিস্যু নিয়ে ভয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে কেকটা মুছতে লাগলো। কাব্য খুব ভালো করে বুঝতে পারছে তানিশা প্রচন্ড ভয় পাচ্ছে। তাই কাব্য তার হাতটা ধরে নিয়েই মুছে ফেললো,,,
কাব্য : next time... যেন কখনো এমন ভুল না হয় mind it...
তানিশা : হুম। ( মাথা নাড়িয়ে )
কাব্য : good girl... আর হ্যা আমাকে এতো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ( মুচকি হেসে )
--- তানিশা কিছু না বলে কোনোরকম কাব্যর সামনে থেকে চলে গেলো। জীবনে বাচলে এই এনাকন্ডা, মুখ পুড়া হনুমানের সামনে আর আসবে না। তানিশা কাব্যর থেকে অনেকটা দূরে দাড়িয়ে আছে। কাব্য পকেটে হাত দিয়ে তানিশাকে দেখছে, আর ভাবছে মেয়েটা অনেক কিউট। পার্টি প্রায় শেষ। মেহমান চলে যাচ্ছে কিন্তু কাব্যর যাওয়ার কোনো নাম নেই। পলাশ কাঁধে হাত দিয়ে বলতে লাগলো,,,
পলাশ : কিরে কাব্য আজ কি আবিরের বাসায় থাকার plan করে এসেছিস নাকি?
কাব্য : কি বলতে চাইছিস?
পলাশ : মেহমান সব চলে যাচ্ছে। আমাদেরও যাওয়ার সময় হয়েছে।
কাব্য : ওহহ,, হ্যা চল।
--- আবিরের থেকে বিদায় নিয়ে কাব্য আর তার বন্ধুরা বাসায় চলে গেলো,,,
চলবে,,,
( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন )
Friday, October 26, 2018
Devil Queen পর্ব ১
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
আরো নতুন নতুন গল্প, কবিতা,জোকস পড়তে চাইলে আমার সাইটে ভিজিট করুন
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz