Friday, October 26, 2018

দ্বিধা পর্ব ২

No comments

দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা

-ঘরে ফিরে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম(মাহিরা)।
-ইনায়া মামনি টা কোথায়????(আরহান)
টেবিলের নিচে লুকিয়ে আছে ইনায়া হাত দিয়ে মুখ চিপে হাসছে।
টেবিলের নিচে ইনায়ার ফ্রকের একটা সাইড দেখে মুচকি হাসলো আরহান।নিচে বসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো মেয়েকে।
-পেয়ে গেছি(আরহান)।কি করছিলা মামনি টেবিলের নিচে?
-মার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।মা এসেছে(আরহানের কোল থেকে মাকে খোঁজার চেষ্টা করছে)।
মা কথাটি শুনে আরহানের হাসিটুকু ম্লান হয়ে গেল।
-কিছুক্ষনের জন্য চুপ হয়ে গেলাম।কেমন করে বুঝাবো ওর মা ওকে ছেড়ে চলে গেছে জন্মের পরপরই।মামনি পাপা এখন ঘুমোতে যাবে ওকে?
-ওকে।
-চলো।ওকে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়লাম।
- সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে আসলাম।বাবা পেপার পড়ছেন।বাবা নাস্তা করতে এসো।(মাহিরা)
-উঠে গেছিস?তোর জন্য একটা লেটার এসেছে।
-ওহ দাও তো।লেটার হাতে নিয়ে মুখে হাসি ফুটে উঠলো।বাবা চাকরী হয়ে গেছে আমার (চিৎকার করে)।
-আরে আস্তে মা।এজন্য এতো চিৎকার করতে হবে?
-স্যরি বাবা।আজ জয়েন করতে হবে(মাহিরা)।
-নাস্তা সেরে রেডি হয়ে নেয়(বাবা)
-জি বাবা।তাড়াহুড়ো করে নাস্তা বেরিয়ে পড়লাম।
-মামনি একদম দুষ্টমি করবেনা ওকে।নীলিমা আন্টির কাছে ভদ্র বাবুর মতো বসে থাকবে ওকে?(আরহান)
-ওকে(ইনায়া)।
-গুড গার্ল।ওকে কোলে নিয়ে অফিসে ঢুকলাম।নীলিমা!!!!
-ইয়েস স্যার(নীলিমা)
-টেক হার।
-ওকে স্যার।আসো মামনি।
-নীলিমার কোলে ইনায়া কে দিয়ে কেবিনে আসলাম।
-উফ বড্ড দেরি হয়ে গেছে। প্রথম দিন থেকে দেরি বস ক্যালাবে আজ।অফিসে ঢুকলাম।ভিতরে আগাচ্ছি তখনই ঘটলো বিপত্তি চাকাওয়ালা কিছুর ওপর পাড়া লাগতেই পড়ে গেলাম উপুড় হয়ে।আআআহ মরে গেলাম রে।সামনে তাকাতেই দেখি ছোট্ট একটি মেয়ে হাসছে আমাকে দেখে।কিছুক্ষনের মধ্যে পুরো অফিস অট্টহাসিতে ভরে উঠলো।
-হাসির শব্দ পেয়ে রুম থেকে বেরিয়ে দেখি একটি মেয়ে পড়ে গেছে আর তাকে দেখে সবাই হাসছে।মেয়েটিকে ঠিকমতো দেখতে পেলাম না।ইনায়া ও সেখানে ছিলো।কেবিনে ঢুকে পড়লাম(আরহান)।
-ম্যাম হাত ধরুন(নীলিমা)
-থ্যাংকস। উঠতে গিয়ে আহ(হাঁটুতে ব্যাথা হচ্ছিলো)।খুড়িয়ে খুড়িয়ে ওয়াসরুমে গেলাম।এত দুষ্ট বাবারে বাবা।হাঁটুতে পানি দিয়ে ডেস্কে এসে বসলাম।আমি এখানকার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পিএ।
-ম্যাম স্যার ডাকছে আপনাকে(নীলিমা)।
-ওকে আসছি।স্যারের রুমের দরজায় নক করলাম।
-কাম ইন(আরহান)।
-ভিতরে ঢুকে আরে আপনি???
-ইয়েস মিস মাহিরা।আমি আপনার বস।
-(উফ আল্লাহ এখানে চাকরী টা হওয়ার কি ছিলো?)
-ভাগ্যের জোড়ে হয়ে গেছে(আরহান)।তো মিস মাহিরা কাজের কথায় আসি।৪টা ফাইল ওর হাতে দিয়ে বললাম এগুলো চেক করে আনো।
-ওকে স্যার।জল্লাদ একটা এতগুলো কখন চেক করবো???
-ভালোই ব্যাথা পেয়েছে মনে হয়।কেমন খুড়িয়ে হাঁটছে। মুচকি হেসে কাজে মনযোগ দিলাম।
-বাহিরে আসতেই দেখি বাচ্চাটি জিভ বের করে ভেঙ্গাচ্ছে।দাড়া দেখাচ্ছি মজা ওর পিছে দৌড়াতে লাগলাম।সে আমার থেকে আরো বেশি স্পিডি।কখনো সোফার নিচে কখনো টেবিলের কখনো বস পর্দার পিছনে লুকোচ্ছে।হঠাৎ বাচ্চাটি দৌড়াতে দৌড়াতে স্যারের রুমে ঢুকে গেলো।আজ বাঁচলিরে বাছা।
-ফাইল গুলো কম্পলিট করে স্যারের রুমে এলাম।
-পাপা এই আন্তিতা(মাহিরার দিকে লক্ষ্য করে)
-মাহিরা তুমি কি ওকে মেরেছো?(আরহান)
-কি!!!!!!!!!(শয়তান বাচ্চা কখন মারলাম তোকে আমি?)না স্যার মারিনি।
-না পাপা মেরেছে(ইনায়া)।
-ও তো বলছে তুমি মেরেছো(আরহান)
-না স্যার....
-চুপ থাকো যাও এখান থেকে।আউট।
-ইবলিস একটা।
চলবে

No comments :

Post a Comment