Friday, October 26, 2018

দ্বিধা পর্ব ৩

No comments

#দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা

-ডেস্কে এসে বসলাম।কেমন পিচ্চিরে বাবা!!!!!!কাজে মন দিলাম(মাহিরা)।
-হায়।মাহিরা রাইট??(নিদ)
-জি।
-বেশি ব্যাথা পাওনি তো?তখন যেভাবে পড়েছিলে মুচকি হাসতে হাসতে বললাম।(নিদ)
-ওভাবে হাসার কি হলো?ব্যাথা পাইনি আমি।
-আরে অতো রেগে যাচ্ছো কেন?এমনিই মজা করছিলাম।স্যারের মেয়েটা একটু বেশি দুষ্ট।
-হুমম।লাঞ্চ টাইম হয়ে এলো।আমার যেতে হবে(মাহিরা)
-তোমার সাথে আসতে পারি?(নিদ)
-নো থ্যাংকস।ক্যান্টিনে এলাম।বার্গার ও কফি নিয়ে পিছনে ফিরতেই স্যারের সাথে ধাক্কা খেয়ে কফি ওনার সাদা শার্টের ওপর পড়লো।স্যরি স্যার।
-কি করলা এটা(রেগে)?
-পরিষ্কার করে দিচ্ছি স্যার(টিস্যু নিয়ে ওনার দিকে ধরলাম)।
- Go to hell with your damn tissue.Get out.
-ওনার সামনে থেকে চলে এলাম এতো রাগের কি আছে?আমি তো ইচ্ছে করে ফেলিনি।বজ্জাত খাটাশ একটা।
-কাকে বজ্জাত খাটাশ বলতো?
-পিছনে ফিরে দেখি স্যারের মেয়ে।কাউকে না মামনি আমি বজ্জাত খাটাশ।
-জানি তুমি বাবাকে বলতিলে। বাবা!!!!
-ইয়া আল্লাহ আজ কার মুখ দেখে যে ঘুম ভেঙ্গেছিলো?
-কি হলো ইনায়া????(আরহান)
-বাবা জানো আন্তিতা তোমাকে বজ্জাত খাটাশ বলতিলো(ইনায়া)।
-এই তেমার এতো বড় সাহস হলো কি করে আমাকে এসব বলার?
-স্যার আসলে......
- Get back to work.Go(চিৎকার করে)
-চলে আসলাম।ধুর ভালোই লাগছেনা।
-কি হলো মাহিরা সব ঠিক আছে তো?(নীলিমা)
-না।কিছু ঠিক নেই।বের হয়ে গেলাম।প্রথম দিনেই যা হলো আর করতে ইচ্ছে করছেনা চাকরীটা।মা সবসময় বলেছিলেন ধৈর্য্য ধরতে।এতো সহজে হাল ছাড়বোনা।চাকরীটা করবোই।বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুমপাড়ানি মাসীপিসী মোদের বাড়ি এসো......মেয়েকে ঘুম পাড়াতে যেয়ে আরহান নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছে।
-বাবা ঘুমিয়ে গেতো(ইনায়া)?
-মেয়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো আরহানের না মা।তুমি ঘুমাও।বাবার কাজ আছে।
-কোলে নিয়ে ঘুম পাড়াতে হবে(ইনায়া)
-ওকে আসো।
-বাবা!!!!
-বলো।
-মা কি আর আসবেনা?(ইনায়া)
-আসবে মা চলে আসবে।ঘুমাও।
-সকালে অফিসে এসে স্যারের মেয়েটিকে দেখতে পেলাম।কিছুনা বলে চলে যাচ্ছিলাম।সে আমার পথ আটকে দাড়ালো।অন্যদিকে যেতেই আবার ও পথ আটকে দাড়ালো।কি চাও?
-এদিকে এসো।(ইনায়া)
-কি?
-আসো।
-ওকে।ওর দিকে ঝুঁকলাম।
-কানে কানে বলি?(ইনায়া)
-বলো।ওর মুখের সামনে কান নিতেই।(মাহিরা)
-আআআআআআআ।
-ওমা আমার কান গেলো।দুষ্ট পাজি মেয়ে।দৌড়ে চলে গেলো।ডেস্কে যেয়ে বসলাম।
-মাহিরা!!!!!!!(নীলিমা)স্যার ডাকছে।
-ওকে আসছি।স্যার ডেকেছিলেন?
-ইয়েস।ফাইল গুলো ওলটপালট করা আছে ঠিক করে এনো।(আরহান)
-ওকে স্যার।ফাইল গুলো হাতে নিয়ে ডেস্কে চলে এলাম।নীলিমা এক কাপ কফি প্লিজ।
-ওকে আনছি।
- থ্যাংকস(মাহিরা)।ফাইল গুলো গুছাতে লাগলাম।
-হায় আন্তি(ইনায়া)
-কি হলো???(মাহিরা)এমন ঘোরাঘুরি করছো কেন?বাবার কাছে যাও।
-না যাবনা(ইনায়া)।
-চুপচাপ বসে থাকো(মাহিরা)।হঠাৎ ও হাত নাড়াতেই কফি পড়ে ফাইল গুলো ভিজে গেলো।ইয়া আল্লাহ কি করলে এটা?
-কি হলো মাহিরা?(নিদ)
-ফাইল গুলো ভিজে গেছে স্যার তো রাগ করবে।(মাহিরা)
-এই মেয়ে বাবার কাছে যেয়ে বসতে পারোনা?এখানে আসো কেন বারবার?(নিদ)বেশ রেগে বললাম।
-খেয়াল করলাম ভয় পেয়ে গেছে।কাঁদো কাঁদো মুখ নিয়ে দৌড়ে চলে গেল।এভাবে না বকলে ও পারতে(মাহিরা)।স্যার কে কি বলবো?
-মাহিরা!!!!!(আরহান)
-জি স্যার?
-আমার কেবিনে এসো।
-ওকে স্যার।কিছু বলবেন?
-ইনায়া কে কি বলেছো তুমি?
-কি বললাম আমি কিছুই তো বলিনি(মাহিরা)
-তাহলে ও কাঁদছে কেন?(আরহান)
-জানিনা স্যার।
-আমার মেয়ে থেকে ২০ হাত দূরে থাকবে তুমি।
-স্যার ও তো কফি........
-আর কিছু শুনতে চাইনা গেট লস্ট।
-চলে এলাম।আর পারছিনা।
চলবে

No comments :

Post a Comment