Friday, October 26, 2018

দ্বিধা পর্ব ১

No comments

দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা

-বিয়ে করবিনা কেন শুনতে চাই?
-প্লিজ বাবা জ্বালাতন করোনা।ভালো লাগছেনা(মাহিরা)
-দেখ মা ফেমিলি খুব ভালো।ছেলে এস্টাব্লিসড। সুখে থাকবি মা।
-বাবা প্লিজ কান্না জড়িত কন্ঠে বললাম।
-মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম ঠিক আছে মা তোকে জোর করবনা।
-বাবা চলে যাওয়ার পরে দরজা লাগিয়ে এক গ্লাস পানি ঢকঢক করে খেয়ে নিলাম।আজ একটা ইন্টারভিউ আছে। রেডি হয়ে নিলাম।নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লাম।অনেক মেয়েই ওয়েটিং রুমে আছে।বুঝতে পারলাম সবাই ইন্টারভিউর জন্য এসেছে।আমি ও বসে পড়লাম।এতগুলো মেয়ের মাঝে কি আমি সিলেক্ট হবো?৫জনের পর আমার ডাক পড়লো।তিনজ মধ্যবয়স্ক লোক বসে আছে।আধা ঘন্টা পর বেরিয়ে এলাম।জানতে পারলাম এদের মধ্যে কেউই আমার বস না।বলেছে একটি চিঠি পাঠাবে যদি সিলেক্ট হই।বাসায় ফিরে এলাম।
-কিরে মা ইন্টারভিউ কেমন হলো?(বাবা)
-ভালো বাবা।
-বাবা একটা কথা বলি জাস্ট দেখা করে আসবি।
-কি বলো।আমার বন্ধু আছেন হাসান। মনে আছে তোর?
-জি মনে আছে।
-ওর ছেলের সাথে দেখা করবি।বৌ চলে গেছে অন্য এক লোকের সাথে।৪বছরের একটি বাচ্চা আছে।মা ছাড়া বাচ্চার খুব কষ্ট হচ্ছে।একটু দেখা করবি।বাচ্চাটার জন্য প্লিজ।
-আমি কি বুড়িয়ে গেছি বাবা যে একজন বিবাহিত লোককে বিয়ে করতে হবে?
-নারে মা।আমার তো শুধু বাচ্চাটার জন্য কষ্ট হচ্ছে তাই বললাম আরকি।দেখা করবি?
-চলো(বিরক্তি নিয়ে বললাম)।
রেডি হয়ে বাবার সাথে বেরিয়ে পড়লাম।একটি চাইনিজে বসে আছি আমি আর বাবা।কিছুক্ষন পর ওনারা চলে এলো।হাসান আঙ্কেল ও তার ওয়াইফ এসেছে।ওনাদের সালাম দিলাম।তাদের ছেলেও কিছুসময় পর চলে এলো।কোন বাচ্চাকে দেখতে পেলাম না।লোকটি কোন কথাই বলছেনা।ব্লু শার্টের সাথে ব্লাক স্যুট পরেছে। জেল দিয়ে চুল গুলো সেট করে রেখেছে। ওনাকে দেখে দু তিনটে মেয়ে কানা কানি করছে।হঠাৎ সে কথা বলে উঠলো মাহিরার সাথে একটু কথা বলতে চাই।আপনারা যদি কিছু মনে না করেন।
-বলো বাবা। কোনো সমস্যা নেই(মাহিরার বাবা)
-থ্যাংকস আঙ্কেল। So Miss Mahira shall we??
-sure. চলুন।
-আরেকটি টেবিলে বসলাম মাহিরাকে নিয়ে।আমি আরহান।
-ভালো।তো কেমন আছেন আপনি?
-ভালো।দেখুন বিয়েতে আমার কোন ধরনের ইন্টারেস্ট নেই।শুধুমাত্র আমার মেয়ের জন্য বিয়েটা করতে হচ্ছে।
-ওহ।আপনার ওয়াইফ..........
-স্টপ প্লিজ পার্সোনাল বিষয়ে কারোর সাথে কথা বলতে চাইনা।যদি বিয়ে করেন তাহলে কখনো বৌয়ের অধিকার পাবেন না।আমার মেয়ের মা হয়ে থাকতে হবে(আরহান)।
-দেখুন আমার ও এই বিয়েতে কোনো ইন্টারেস্ট নেই।আর আমার ও কিছু শখ আছে, বৌ হিসেবে স্বামীর কাছে অবশ্যই কিছু অধিকার পূরনের ইচ্ছা থাকতেই পারে।এই বিয়ে করতে পারবো না আমি স্যরি।উঠে চলে এলাম।বাবা চলো।
-কি করছিস মা?
-বাবা প্লিজ চলো।
-আরহান মেয়েটাকে কি বলেছিস তুই(মিঃ হাসান)?
-যা বলার তাই বলেছি।
-এটা ঠিক না। একটা মেয়েকে তুই শুধু ইনায়ার মা হওয়ার জন্য বিয়ে করতে পারিস না।ওর ও কিছু শখ থাকতে পারে।
-আমি কিছু জানিনা বাবা।সে যদি আমার মেয়ের জন্য আমাকে বিয়ে করতে পারে তাহলে করবে।নাহলে আমি নিজেই ইনায়ার খেয়াল রাখতে পারি(আরহান)।হ্যালো মামনি বাবা আসছি।
-পাপা দলদি আতো।মিত করতি তোমাকে(পাপা জলদি আসো মিস করছি তোমাকে)
-আসছি মা(আরহান)।
চলবে

No comments :

Post a Comment