Friday, October 26, 2018

অভিমানী ভালোবাসা পর্ব ৫ (শেষ পর্ব)

No comments

#অভিমানী__ভালোবাসা
#লেখাঃ_মৃনাল___....
#পর্বঃ_৫ম_এবং_শেষ_পর্ব__.
...... তুতুল দেখলো মৃনাল ঘরের ভিতর গিয়ে ছোট বাচ্চাদের মতো কান্না শুরু করে দিলো আর চোখের পানি হাতের উল্টো দিক দিয়ে মুছলো। তুতুল গিয়ে বলল..
- সরি। আমার ভুল হয়ে গেছে তোমার গালে কামর দেওয়া আমার ঠিক হয়নি প্লিজ ক্ষমা করে দাও? 
.. তুতুলের কথা শুনে মৃনাল আরো জোরে জোরে কান্না করতে লাগলো....
- এ্যাাাাাাাাাাাাাাা এ্যাাাা্া্্্া হু হু হু হু এ্যাাাাাাাহহহহহহহ। 
- এমন বাচ্চাদের মতো কাঁদতে নেই লোকে খারাপ বলবে তো? 
- বলুক খারাপ। তুমি কেনো আমাকে কামর দিছো? আমি একটু তোমার দিকে তাকিয়েছি বলে এমন করে কামর দিছো তুমি। আমি আর তোমার দিকে তাকাবো না। ..... এ্যাাাাাাাাাাাাএ্যাাাা্্্্হহহহহহহ।
- আচ্ছা আমি সরি আর এমন করব প্রোমিস! 
... তুতুল মৃনালের কাছে গিয়ে তার হাত দিয়ে আলতো করে মৃনালের চোখের পানি মুছে দিলো। মৃনাল চুপ করে আছে কিছু বলছে না দেখে তুতুলের মন টা ও একটু খারাপ হয়ে গেলো। 
- খুব লেগেছে তাই না? (তুতুল)
- হুম। (মৃনাল)
- তুমি কেনো আমাকে পেত্নী বলছো তখন? যদি পেত্নী না বলতে তাহলে আর কামর খেতে হতো না । 
- পেত্নী কে পেত্নী না বলব তো কি পরী বলব নাকি। আপনি আমার কাছ থেকে জানতো? 
... তুতুল চলে গেলো মৃনালের কাছ থেকে আর তার কিচুক্ষন পর তুতুলের বান্ধবী প্রিয়ার আগমন। প্রিয়া এসে মৃনাল কে বলল.. 
- সরি (প্রিয়া)
- আবার আপনি সরি বলছেন কেনো?(মৃনাল)
- আমার জন্য আপনাকে অনেক অপমানিত হতে হয়েছে তাই। আসোলে সেদিন আমার বান্ধবী তুতুল আমার কথা গুলো শুনে নিজেকে কনট্রোল করতে পারেনি তাই ভুল ঠিকানায় চলে গিয়েছিলো। আর তার স্বীকার হয়েছেন আপনি। 
- আমি এসব কিছু মনে করিনি! আচ্ছা আপনার বিয়ে তো তাই না? 
- হ্যা আমার ই বিয়ে। আর কার সাথে জানেন? 
- কার? 
- যাকে আমি ভালোবাসি তার সাথে। যাকে মনে করে আপনাকে ধরা হয়েছিলো! 
- আচ্ছা সে তো আপনাকে মেনে নেয় নি তাহলে এখন বিয়ে করছে কিভাবে?
- আমার বান্ধবী তুতুল ওরে ধরে পুলিশে দেয় প্রথমে আর অনেক মারপিট ও করে। শেষে ও আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। আর এর সব কিছু তুতুলের জন্য সম্ভব হয়েছে। আমি তুতুলের মতো একটা বান্ধবীকে পেয়ে ধন্য। 
- তুতুল খুব পঁচা! আমাকে গালে কামর দিছে তুতুল হু। 
- হিহিহিহি কি গালে কামর দিছে কই দেখি দেখি? 
.... মৃনাল গাল না দেখিয়ে গালে একটা হাত দিয়ে থাকলো। প্রিয়া চলে গেলো আরো কিছু কথা বলে। এখন মৃনালের কাছে সব কিছু পরিস্কার হলো। কারন প্রিয়ার ই বিয়ে। 
অনেক ধুমধামে বিয়ে হলো। সবাই অনেক খুশি এই বিয়েতে। 
বিয়ের অনুস্টান শেষে মৃনাল ও তুতুল বাসায় চলে আসলো।
মৃনালের সাথে তুতুলের সব সময় ঝগড়া লেগেই থাকে বেশ ভালো বন্ধত্ব ও হয়েছে তাদের মাঝে। ক্লাসে একই ব্রেঞ্চে বসবে মৃনাল ও তুতুল মাঝে মাঝে যখন মৃনাল ক্লাসে দাড়িয়ে থাকে তখন তুতুল মৃনালের শরীরে চিমটি কাটে আর তখন আউউ করে চিৎকার করে উঠে মৃনাল। 
... একদিন বাসায় এসে দেখে মৃনাল তার গিটার নেই। 
.... মা ও মা কই তুমি? (মৃনাল)
- কি হয়েছে? (মৃনালের মা)
- আমার গিটার তো এখানেই ছিলো পাচ্ছি না কেনো? 
- তোর গিটার কোথায় ছিলো তা তুই ই ভালো জানিস আর আমি তোর গিটার নিয়ে কি করবো বল? 
- মা সত্যিই তুমি জানোনা গিটার কোথায়?
- আরে না সত্যিই আমি জানিনা গিটার কোথায়? 
... মায়ের কথা শুনে মৃনালের মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো গিটারের জন্য। কারন মাঝে মাঝে এই গিটার ই মন ভালো করে দেয়। মৃনাল ভাবছে এই কাজ একমাত্র তুতুলের দাড়াই সম্ভব আর এ কাজ তুতুল ই করেছে তাই আর একক মুহুরতো দেড়ি না করে তুতুলের বাসায় চলে গেলো মৃনাল। এখন তুতুলের বাসার সবার সাথে ভালো একটা রিলেশন গড়ে উঠেছে মৃনালের। মৃনাল তুতুলের ঘরে ঢুকে দেখে তুতুল মাথার চুল আছড়াচ্ছে আর তা দেখে মৃনাল পিছন থেকে চুলের মুঠি টা ধরে ফেলল তুতুল চিৎকার করছে কিন্তু মৃনাল ছেড়ে দিচ্ছে না। 
- মৃনাল আমার লাগছে চুল ছাড়ো? (তুতুল)
- আগে বলো আমার গিটার কোথাও? 
- তোমার গিটার কোথায় আমি কিভাবে জানবো? আমার চুল ছাড়ো বলছি লাগছে আমার? 
- তুমি গিটার না দিলে আমি কখনই চুল ছাড়বো না। (অনেকটা যেদ নিয়ে বলল মৃনাল)
.... তুতুলের চুল টেনে ধরার কারনে অনেক লাগছে তুতুলের। মৃনাল কিছুতেই ছাড়ছে না চুল। তুতুল একটা ধাক্কা মেরে মৃনাল কে ফেলে দিলো আর মৃনাল বিছানায় পড়ে গেলো। তুতুল বলল...
- ফাজলামির একটা সীমা আছে। তোমার গিটার আমি নেই নাই আর একবার যদি গিটারের কথা বলো তাহলে মোটেও ভালো হবে না কিন্তু বলে দিলাম। (অনেক রেগে)
- এহহহ মহারানীর রাগ উঠলো দেখছি চোর কোথাকার।
- চুপ একদম চুপ বেয়াদ্দপ ছেলে (রেগে) আমি রাগবো কি রাগবো না সেটা আমার ব্যাপার! এখানে তোর কথা বলার কি আছে? 
- তুতুল এসব কি বলছো? 
- হ্যা আমি ঠিক ই বলছি। আর একটা কথা আমার সামনে তুমি আর কখনো আসবে না তোমার পেঁচা মার্কা মুখ আর আমি দেখতে চাই না। তোমাকে আমি অনেক ভালো ভেবেছিলাম কিন্তু তুমি অনেক নিচ অনেক বাজে আর কখন ও তোমার মুখ আমাকে দেখাবে না? 
...... তুতুল মৃনাল কে এভাবে আরো অনেক কথা শুনালো আর এসব শুনে মৃনাল প্রায় কেঁদেই দিচ্ছিলো। মৃনাল ভাবছে তুতুল কি বলে এসব আমি তো কখন ও খারাপ কিছু করিনি কোন খারাপ ব্যাবহার ও করিনি তাহলে আমাকে এসব বলছে কেনো? মৃনাল তুতুল কে বলল.. 
- তুতুল অনেক হলো আর মজা নিও না তো চলো আজ ঘুরতে যাবো? 
- জাস্ট শাট আপ... তোর মত একটা ছেলের সাথে ঘুরতে যাবো আমি ইমপসিবল। তুই অন্য কোন মেয়ের সাথে ঘুরতে যা? 
.... তুতুলের কথা শুনে মৃনাল পুরোই স্তব্ধ কারন এমন ব্যাবহার এর আগে কখনো করেনি তুতুল। মৃনাল চুপ করে দাড়িয়ে আছে... 
- কি হলো এখন ও এখানে আছো কেনো? বেরিয়ে যাবে ঘর থেকে না ভাইয়াকে ডাকবো? 
.... এবার আর সহ্য করতে না পেরে মৃনাল চলে গেলো তুতুলের বাসা থেকে। আর নানান রকম ভাবতে থাকলো কারন আজ যেটা হলো সেটা কখনো আশা করেনি মৃনাল। 
আর এদিকে তুতুল বিছানায় শুয়ে কান্না করতে লাগলো কারন তুতুল যে মৃনাল কে ভালোবেসে ফেলেছে আর আজকের ব্যাবহার করেছে এই কারনে তা হলো..
মৃনাল একটা গিটার কিনে আর বাজানো শিখে একদিন কলেজ ক্যাম্পাসে একটা মেয়েকে নিজে হাতে গিটার বাজানো শেখায় মৃনাল আর সেই দৃশ্য তুতুল খুব ভালো করেই লক্ষ্য করে আর পরে গিটার টা নিয়ে ভেঙে ফেলে। তারপর কি হলো তা তো জানাই সবার। 
বাসায় এসে মৃনাল ও কান্না করলো। আর ভাবছে এতদিন যার সাথে এতো ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে আর সে কি না আজ এভাবে সব কিছু শেষ করে দিলো। 

... ২ মাস পর.... 
... মৃনাল ও তুতুলেরর মধ্যে কোন যোগাযোগ নেই। ফেসবুকেও মৃনাল কে ব্লক করেছে তুতুল এই একটু সামান্য ভুলের জন্য। তুতুল প্রতিদিনই অপেক্ষা এই বুঝি মৃনাল আসবে আমাকে ভালোবাসার কথা বলবে। মৃনাল তুতুল কে খুব মিস করে। মিস করে তুতুলের সাথে কাটানো সময় গুলো যখন মন খারাপ থাকতো তখন তুতুল মৃনালের গিটার টা বাজিয়ে গান শুনাতো আর সেই গান এখন কেউ শুনায় না মৃনাল কে। মৃনাল ইচ্ছে করেই তুতুলের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি কারন তুতুল বাধা করেছে তাই আর মৃনাল তুতুল কে ভালোবাসে তাই তার কথা ফেলবে কিভাবে।
... আর কিছুদিন পর.... 
ঘরের মধ্যে মৃনালের চোখ বেয়ে টপটপ করে অশ্রু কনা ঝরে পরছে। তার এমন অবস্থা দেখে মা এসে বলে....
- বাবা কি হয়েছে তোর? এভাবে কাঁদছিস কেনো? (মৃনালের মা)
- মা....? 
- আরে কি হয়েছে বলবি তো নাকি? 
- মা তুতুল কে আমি ভালোবাসি।ওকে ছাড়া থাকতে পারব না মা! (কেঁদে কেঁদে)
.... ছেলের মুখে আজ এই প্রথম মৃনালের মা শুনলো কোন মেয়েকে ভালোবাসে। আর সেই মেয়েটা তুতুল। একটু মুচকি হাসি দিয়ে বলল....
- আরে পাগল ছেলে ভালোবাসিস তো ভালো কথা কিন্তু আমাকে এই কথা না বলে সেই মেয়েটাকে বললেই তো হয়? 
- মা ও আমাকে ওর কাছে যেতে বারন করেছে। আর......? 
- আর কি বল? 
- আর তুতুলের বিয়ে আজকেই! এ্যাাাাাাাাহহহহহ হ্যাাাাাাএ্যাাাাাাা হু হু হু........! 
- ঐ চুপ কাঁদবি না একদম? ছোট বাচ্চাদের মতো কাঁদে!
- মা আমি তোমার কাছে তুতুল কে চাচ্ছি ওকে এনে দাও মা। ওকে আজ দুই মাস থেকে দেখিনি আর ফোনে ওর কিছু ছবি ছিলো ও সেগুলা ও ডিলিট করেছে হু হু হু... এ্যাাাাাা্াাহহহহহহহহহহ।
- উফফফফফ কান্না টা থামাবি তুই। কেমন ছেলে তুই ভালোবাসার কথা বলতে পারিস না। আর আমাকে বলা হচ্ছে মা ওকে এনে দাও না। এহহহ মামার বাড়ির আবদার । তুতুলের বিয়ে যার সাথে হচ্ছে সে ছেলেটা কে কোথায় থাকে আর কি করে? 
- জানিনা আমি কিচ্ছু জানিনা। 
....... মৃনালের মা ভাবছে যে করেই হোক বিয়ে আটকাতে হবে। তাই আর দেড়ি না করে সোজা তুতুলের বাসায় গেলো মৃনালের মা। গিয়ে দেখলো তুতুল লাল বেনারসী পড়ে বসে আছে। অনেক লোকজন এসেছে বিয়েতে । তুতুল মৃনালের মা কে দেখে একটু অবাক হলো? মৃনালের মা আর দেড়ি না করে বিয়ে বাড়িতে থাকা সকল লোকের সামনে তুতুল কে বলল......
- তুতুল মা জানো আমার ছেলেটা আজ অবদি কিচ্ছু চায়নি। কিন্তু আজ চেয়েছে আর সেটা কি জানো সেটা হলো তুমি। 
আমার ছেলেটা তোমাকে অনেক ভালোবাসে তাই তোমার কথা পালন করেছে। তোমার সাথে দেখা ও করেনি। প্রতিরাত কেঁদেছে তোমার জন্য। 
... তুতুল নিজে কানে এসব শুনে বিশ্বাস করতে পারছে না। তুতুলের চোখ থেকে পানি পরছে কিছু বলার ভাষা নেই। তারপর লক্ষ্য করলো মৃনাল চলে এসেছে। তুতুলের সামনে দাড়িয়ে আছে কেউ কিছু কথা বলছে না। যার সাথে তুতুলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো সে ও অবাক কথা শুনে। 
তুতুল দৌড়ে গিয়ে মৃনালের বুকে ঝাপিয়ে পরলো আর কাঁদতে লাগলো। 
- আমাকে ভালোবাসো আগে বলোনি কেনো? (তুতুল)
- ভেবেছিলাম তুমি আমাকে ভালোবাসো তাই তুমিইই বলবে? (মৃনাল)
- গাঁধা মেয়েরা ভালোবাসার কথা বলেনা। ছেলেদের ই বলতে হয়।.

তারপর কিছু বাংলা সিনেমার মতো মৃনাল আর তুতুলের বিয়ে হলো। সবাই অনেক খুশি আর সবথেকে বেশি খুশি তুতুল কারন সে তার ভালোবাসার মানুষটি কে পেয়েছে। 
ফুলসজ্জার রাতে বসে আছে তুতুল। মৃনাল যাওয়া মাত্রই.... 
- খবরদার আমার কাছে আসবে না? (তুতুল)
- কেনো? (মৃনাল)
- তুমি আমাকে অনেক কস্ট দিছো তাই। আর আমার কাছে আসতে গেলে ১ হাজার বার কান ধরে উঠবস করতে হবে?
- এই তুতুল আমি পারব না। প্লিজ ক্ষমা করে দাও? 
-কোন ক্ষমা নেই কথা বাড়ালে ২ হাজার বার করতে হবে হুম? 
- কিন্তু....
- না না কোন কিন্তু হবেনা যা বলছি তাই করতে হবে। 
.... কিছু উপায় খুজে না পেয়ে কান ধরে উঠবস করতে লাগলো মৃনাল আর তুতুল গুনতেছে ১০০ পার হওয়ার পর মাথা ঘুরে ধপ করে পড়ে যায় মৃনাল তুতুলের কোলে আর তুতুল মৃনাল কে বিছানায় শুয়ে দেয়। আর বলে। তুতুল ভাবতে পারেনি মৃনাল এভাবে পড়ে যাবে। অনেক ডাকাডাকি করছে কিন্তু মৃনাল চোখ খুলছে না। মৃনাল উঠছে না দেখে তুতুল শেষ অবদি কেঁদেই দিলো আর বলল...

- এই উঠছো না কেনো? প্লিজ উঠো আর কখন ও বলব না কান ধরতে? (তুতুল)
-......? (নিশ্চুপ মৃনাল)
.. এবার তুতুল দৌড়ে ক্লাসে করে পানি এনে মৃনালের মুখে ছিটে দিলো কিন্তু তারপর ও জ্ঞান ফিরলো না মৃনালের তুতুল এসব দেখে কি করবে বুঝতে পারছে না। বেশ কিছুদিন পর মৃনাল চোখ খুলল আর তুতুল তা দেখে অনেক খুশি কিন্তু চোখে পানি জলজল করছে 
- তুতুল তুমি কাঁদছো কেনো? (মৃনাল)
-প্লিজ আমাকে মাফ করে দিও বাবু আমি আর এমন করব না কখনো? (তুতুল)
- আরে তুমি আবার কি করলে?
- আমি তোমাকে আজকের মতো একটা রাতে অমন কান ধরাইছি তাই। আর তুমি কান ধরে উঠবস করার সময় জ্ঞান হারিয়েছিলে। 
- আরে আমিতো এমনি জ্ঞান হারানোর অভিনয় করেছিলাম। আমি জানতাম না তুমি এমন ভাবে কাঁদবে আমায় খুব ভালোবাসা তাই না? 
- মানে কি? তার মানে তুমি এতক্ষন ধরে আমার সাথে অভিনয় করলা। আমি তোমায় কচু ভালোবাসি, কচু কচু কচু, ১কচু ২ কচু ৩ কচু (কেঁদে কেঁদে)
- ও আচ্ছা তাই তাহলে থাকো আমি গেলাম? 
- তোমারে আজকে মেরেই ফেলবো শয়তান আমার সাথে ফাজলামি করো ফুলসজ্জার রাতে তাই না? 
......কথাটা বলেই তুতুল কিল ঘুসি মারতে থাকলো মৃনালের গায়ে ননস্টপলি আর মৃনাল কিছু উপায় না পেয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো তুতুল কে।
- আমাকে ছেড়ে দাও?
- কেনো?
- তোমাকে আরো কিল ঘুসি মারবো তাই?
- আমি তো ছারছি না তোমায়?
- ছেড়ে দিবা নাকি মা কে চিৎকার করে ডাকবো?
- আচ্ছা ডাকো দেখি গলায় কত জোর তোমার? 
... তুতুল ডাকতে যাবে এমন সময় মৃনাল তুতুল কে ছেড়ে দেয় আর তুতুল মৃনাল কে না মেরে জরিয়ে ধরে তলিয়ে যায় ভালোবাসার অতল সাগরে। 
চলতে থাকুক এদের ভালোবাসা। 
..... সমাপ্ত......

ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। একটু দেড়িতে দেওয়ার জন্য আমি খুব দুঃখিত কারন আমি একটু সমস্যার মধ্যে ছিলাম। 
কেমন লেগেছে গল্পটা জানাবেন প্লিজ...

No comments :

Post a Comment