দ্বিধা পর্ব ১২

#দ্বিধা
তাবাস্সুম রিয়ানা
১২
-রুমে চলে এলাম।চোখ থেকে অঝোরে পানি ঝড়ছে।বাবা কে খুব মনে পড়ছে।জানালার সামনে দাড়িয়ে বিল্ডিং গুলো দেখছি।জীবন টা এমন হবে কখনো ভাবতেই পারিনি।অনেক স্বপ্ন ছিলো বাবা চলে যাওয়ার সাথে সাথে সব গুলো স্বপ্ন ভেঙ্গে একাকার হয়ে গেল।হঠাৎ হাতে কারোর ছোঁয়া পেলাম।
-মাম্মা কাঁদছো কেন তুমি?নানু ভাই কে মিস করছো?
-হুম।ওর সামনে বসলাম তুমি মাম্মার সাথে থাকলে আর কখনোই মাম্মা কাঁদবোনা(মাহিরা)
-সত্যি তো?
-তিন সত্যি।ইনায়া আমার গলা জড়িয়ে গালে চুমো খেয়ে বলল
-লাভ ইউ মাম্মা
-লাভ ইউ টু বাবু।চলো গোসল করিয়ে দেই।
-চলো চলো।
-দাড়িয়ে মা মেয়ের কথা শুনছিলাম।ইনায়ার মা পেয়ে গেছে।আসলেই মেয়েটি অন্যরকম।মুচকি হেসে নিজের রুমে চলে এলাম(আরহান)।হ্যালো
-হ্যা বলেন(কাজী)
-আপনি আজকেই আসেন(আরহান)
-ঠিক আছে।বিকেলের মধ্যেই আসছি(কাজী)
-হুম।আল্লাহ হাফেজ।
-আল্লাহ হাফেজ(কাজী)
-পাপা খেতে এসো।মাম্মা ডাকছে(ইনায়া)
-আসছি বাবু(আরহান)।ফোনটা খাটের ওপর রেখে ডাইনিং রুমের দিকে এগোলাম।মাহিরা ইনায়াকে খাওয়াচ্ছে।বিকেলে কাজী আসবেন রেডি থেকো।
-হুম।খাবার খেয়ে রুমে চলে এলাম ইনায়াকে নিয়ে।
ইনায়া ঘুমিয়ে পড়ো মা।
-গল্প শুনাতে হবে(ইনায়া)
-গল্প!!!!!ওকে শুনো
একদেশে একজন রাজা ছিলো।তার তিনটা মেয়ে ছিলো।ওরা তিন বোন মিলে একদিন মেলায় যাচ্ছিলো।সেখানে একটা বুড়ো দাদুর সাথে ওদের দেখা হয়.................।গল্প শেষ করেই খেয়াল করলাম ও ঘুমিয়ে গেছে।কোলে করে শুয়ে পড়লাম।
-বিকেল
-মাহিরা এই শাড়ীটা পরে নাও।আর কিছু গয়না আছে এর সাথে।কাজী চলে আসবেন(আরহান)।
-ওকে স্যার।শাড়ীটা হাতে নিলাম।সিঁদুর লাল রং এর একটি শাড়ি।ফ্রেশ হয়ে শাড়ী টি পড়ে নিলাম।কুঁচি ঠিক করতে পারিনা।কি করবো?কাকে বলবো???
-মাহিরা হলো???(শাড়ী ধরে আছে মাহিরা)।লাল শাড়ী তে এতো সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে। দাড়িয়ে দেখছি ওকে।
-হঠাৎ স্যারের কথা শুনে সামনে তাকিয়ে দেখি ওনি দাড়িয়ে আছেন।
-বেশি দেরি হবে?????(আরহান)
-না মানে স্যার আমি আসছি আপনি যান।
-হঠাৎ ওর কুঁচির দিকে চোখ পড়লো।কুঁচি গুলো ঠিক নেই। সামনে আগাতে শুরু করলাম।
-ওনি এখানে আসছেন কেন?ওনি আগাচ্ছেন আমি পিছাচ্ছি।একদম দেয়ালের সাথে লেগে গেলাম।
-পাগল টা ভয় পেয়ে গেছে।ওর সামনে বসে কুঁচি গুলো ঠিক করতে লাগলাম(আরহান)
-মাথায় হাত দিয়ে বাড়ি দিলাম(সত্যি পাগল হয়ে গেছিস তুই মাহিরা)
-Done.এখন রেডি হয়ে নিচে এসো(আরহান)
-আসছি স্যার।
-হুম(আরহান)
-গয়না গুলো পরে নিচে চলে এলাম।
-ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ী আপনারা এখন স্বামী স্ত্রী(কাজী)
-আরহান মাহিরা একে অপরের দিকে তাকালো কয়েক সেকেন্ডের জন্য আবার চোখ সরিয়ে নিলো।ইনায়া ওদের সামনে বসে আছে।ও পুতুল দের বিয়ে করাচ্ছে।
-তাহলে আমি যাই(কাজী)
-ঠিক আছে। চলুন এগিয়ে দিয়ে আসি(আরহান)
-হুম চলুন।
চলবে