😃বড় লোকের অহংকারী মেয়ে😃
৫ম পর্ব
লেখক--RK Rasel
নিলা বাসা থেকে গেছে অনেকক্ষণ হয়ে গেছে,,কিন্ত এখনো নিলা বাসায় আসছে না।অনেক রাত হয়ে গেছে,,,ফোন দিচ্ছি কিন্ত ফোন বার বার বন্ধ বলছে।খুব চিন্তা হচ্ছে নিলার জন্য।নানা রকম চিন্তা ভাবনা করছি এরি মাঝে বাসার কলিংবেলের শব্দ,,আমি রুম থেকে দৌড়ে বের হলাম কে এসেছে সেটা দেখার জন্য।নিলা এসেছে, নিলাকে দেখে মনে শান্তি ফিরে আসলো।
আম্মুর সাথে কি যেনো কথা বললো তারপর উপরে উঠে আসতে লাগলো।আমাকে দেখলো কিন্তু আমার সাথে একটাও কথা বললো নাহ।অনেক অবাক হলাম। কিছু না বলে নিলার পেছনে পেছনে রুমে চলে গেলাম।
রুমে গিয়ে,
আমিঃএতোক্ষন কোথায় ছিলে??
নিলা;বন্ধুর বিয়ে ছিলো,,
আমিঃফোন বন্ধ কেনো??
নিলাঃঅহহ চার্জ নেই,,মনে হয়...
আমিঃআমার তো চিন্তা হয় নাকি,,সেই সকালে বের হয়েছো আর সারাদিন ফোন ছিলো বন্ধ একবার অন্য কারো নাম্বার দিয়ে তো জানাতে পারতে।আগে তো সারাদিন ফোন দিয়ে সব বলতে কিন্তু এখন এমন করছো কেনো??
নিলাঃআগে করেছি,বলে যে এখন করতে হবে সেটার কি বাধ্যতামূলক নাকি??
আমি;তুমি আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেনো??
নিলাঃকেমন ভাবে কথা বলছি?
আমিঃরেগে কথা বলছো কেনো আমার সাথে??
নিলাঃবারে রাগ করার মত কথা বললে রাগ করবো না?
আমিঃআমি এমন কিছু বলি নাই যে তুমি রাগ করবে,তোমার জন্য চিন্তা হচ্ছিলো তাই জিজ্ঞাস করছি...
নিলাঃআমার না এই সব ভালো লাগে না,,আরে বিয়ে হয়ে গেছে বলে কি আমার কোনো স্বাধীনতা থাকবে না নাকি??আমার সব কাজে কি তোমার নাক গলাতে হবে??
আমিঃআচ্ছা যাও তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো,,পরে কথা হবে,,নিলার সাথে ঝগড়া করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।তাই নিলাকে ফ্রেশ হতে পাঠিয়ে দিলাম।
ফ্রেশ হয়ে বের হলো নিলা,,
আমিঃচলো খেতে চলো,,
নিলাঃআমি বিয়ে বাড়ি থেকে খেয়ে এসেছি,,
একবারো জিজ্ঞাস করলো না আমি খেয়েছি কিনা,সারাদিন নিলার চিন্তায় কিছু মুখে তোলা হয়নি,,আম্মু অনেকবার
বলেছিলো খেতে,কিন্তু খেতে ইচ্ছাই করে নাই,নিলার চিন্তায়।
আর যখন বাসায় আসলো কই একসাথে খাবো তা না,
নিলাঃআমার খুব ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো,
আমিঃহ্যা চলো আমিও ঘুমাবো...
বিছানাগ গিয়ে শুইলাম,,,কিন্তু একি নিলা মাঝখানে কোল বালিশ রাখছে কেনো??
আমিঃএই তুমি মাঝখানে কোল বালিশ রাখছো কেনো??
নিলাঃআজ থেকে আমাদের মাঝে এটা থাকবে...
আমি;কেনো এটা থাকবে কেনো??
নিলাঃযাতে করে তুমি আমাকে টাচ করতে না পারো,,যে স্বামী তার স্ত্রীকে হাত খরচের টাকা দেই না।সেই স্বামীর অধিকার নেই টাচ করার,,নিলার কথা শুনে অনেক বড়সড় একটা ধাক্কা খেলাম।মেয়ে বলে কি?যে মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরা ছাড়া ঘুমাতে পাড়তো না সেই মেয়ে নাকি না আর ভাবতে পারছি না।এই সব ভাবলেই কান্না আসছে,,কিন্ত্ কান্না করতেও তো পাড়বো না।ছেলেদের নাকি কান্না করতে নেই।।
নিলা মাঝখানে বালিশ রেখে অন্যপাশে ঘুরে রইলো।
আমিও আর কিছু বললাম না।অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না।আসলে নিলা জড়িয়ে না ধরলে ঘুম আসে না।কেমন জানি একটা বদ অভ্যাস হয়ে গেছে অল্প কয়েকদিনে।
অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুম আসছে না।এতোক্ষনে নিলা নিশ্চয় ঘুমিয়ে পড়েছে,,
তাই আমি কোল বালিশ সড়িয়ে নিলাকে জড়িয়ে ধরলাম।এইতো এখন ঘুম আসছে।
প্রায় ঘুম চলে এসেছে
তখন নিলা ঠাস করে একটা চড় আমার গালে বসিয়ে দিলো।
উফফফ কি ব্যাথা
নিলাঃঅই তোরে বলেছিলাম তুই আমাকে টাচ করবি না,,কিন্তু তোর সাহস হলো কি করে আমাকে টাচ করার।
আমি;কি করবো আমার তো ঘুম আসে না,,তোমাকে জড়িয়ে না ধরলে।
নিলাঃঘুম না আসলে না আসুক তবুও তুই আমাকে জড়িয়ে ধরবি না।
আমি;প্লিজ আমার সাথে এমন করো না।আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিও না।
নিলাঃঅই তুই তোর কথা বন্ধ কর।আর চুপচাপ ঘুমিয়ে পর।আর খবরদার আবার যদি বালিশ সরিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিস তবে কিন্ত্ খারাপ কিছু হয়ে যাবে এই বলে দিলাম।
কি আর করবো
সেই সকাল থেকে আমাকে অপমান করে যাচ্ছে,, এখন আর সহ্য করা যাচ্ছে না।
তাই আমিও অন্যপাশে ঘুরে ঘুমানোর মিথ্যা চেষ্টা করছি।আর নিজের অজান্তে অনেক কান্না করেছিলাম। নির্ঘুম সারা রাত কাটালাম।
নিলা আগে প্রতিদিন সকালে উঠে আমাকে ডেকে দিতো কিন্তু আজকে দিলো না।আমি অনেকক্ষণ শুয়েই ছিলাম।কিন্তু নিলা একবারো আমাকে ডাক দিলো না।আমি নিজেই উঠে বসলাম নিলা ফ্রেশ হয়ে বের হলো।নিলা আমাকে দেখে জিজ্ঞাস করলো কি ব্যাপার তোমার চোখ এতো লাল কেনো??
সারা রাত না ঘুমানোর জন্য হয়তো লাল হয়ে গেছে।
নিলাকে সেটা না বলে বললাম চোখ কি যেনো গেছিলো,,
নিলাঃঅহহ যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।কলেজে যাবে না
আমিঃহ্যা যাবো
আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি নিলা প্রায় রেডি হয়ে গেছে।
আমিও রেডি হতে লাগলাম।
নিলাঃকি ব্যাপার আর কতক্ষণ লাগবে??
আমিঃএইতো হয়ে গেছে,,
নিলাঃতুমি তাহলে পরে এসো,,আমি গেলাম।
আমি;আমার তো প্রায় হয়ে গেছে,,
নিলাঃআমার তারা আছে আমাকে এখুনি যেতে হবে,,নিলা চলে গেলো....
আবারো খুব অবাক হলাম
যে নিলা কিনা আমাকে রেখে একা কলেজে যেতেই চাইতো না,, সেই নিলা আজকে আমাকে রেখেই চলে গেলো।
আমি আর সেদিন কলেজে গেলাম না।
বাসায় ছিলাম
নিলা কলেজ থেকে ফিরে এসেছে,,
নিলাঃকি ব্যাপার আজ কলেজে গেলে না যে??
আমি;এমনি,
আর কিছু বললো না।আমিও বললাম না।
একটা কথা বলা হয়নি আমাদের বিয়ে হয়েছে সেটা অনেক কম লোক জানে কলেজে কেও জানে না।
সেদিন রাতেও আগের দিনের মত হলো,,
মাঝখানে কোলবালিশ রেখে নিলা ঘুমিয়ে পরেছে,
আমিও মাঝরাতে নিলাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম
তারপর আগের রাতের মত নিলা আমাকে ঠাস করে একটা চড় মেরে চলে যায়।
মানে রাগ করে সেদিন রাতে নিলা অন্য রুমে ঘুমাতে যায়।
আমি অনেক আটকাতে চেয়েছি কিন্ত নিলা আমার কোনো কথা না শুনেই চলে যায় অন্য রুমে।
এইভাবে আমাদের দূরত্ব বাড়তে থাকে
আগে নিলা আমাকে একা অপমান করলে ইদানীং আমার আব্বু আম্মুকেও অপমান করে।
একদিন আম্মু নিলাকে রান্নার কাজে সাহায্য করতে বলেছিলো।আর নিলা তার বিপরীতে জবাব দিয়েছিলো সে কাজের লোক নাকি?যে সে রান্না করবে??
এক কথায় দুই কথায় তাদের মাঝে ঝগড়া লেগে যায়।নিলা যা না তাই বলে আমার আম্মুকে অপমান করছে।আমি সেটা নিরবে সহ্য করবো না।
আমি গিয়ে আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে নিলার গালে চড় মারি।
নিলা চড় খেয়ে,,বলে ছোটলোকের বাচ্চা তোর সাহস হয় কি করে আমার গালে হাত তোলার??
আমার আব্বু আম্মু আমাকে কোনো দিন মারলো না।আর তুই একটা ছোটলোক হয়ে আমাকে মারলি?তোকে এই অধিকার কে দিয়েছে...
আমি;তুই নিজেই সেই অধিকার দিয়েছিস ভুলে গেছিস নাকি??
নিলাঃহ্যা আজ থেকে ভুলে যাবো,আমি থাকবো না আর তোর বাসায়।আমাকে মুক্তি দে,,আমাকে স্বাধীনতা দে।
আমিঃযা যা অনেক হয়েছে তুই যা চাইলি তাই হবে
নিলাঃহ্যা আমি আজকেই এই বাসা থেকে আমার বাসায় চলে যাবো...কেনো থাকবো তোর বাসায়?তোর অপমান সহ্য করার জন্য না কোনো দিন না।
যে ছেলে বিয়ে করে বউয়ের দায়িত্ব নিতে পারে না,আব্বুর ঘাড়ের উপর বসে খায়,সেই ছেলের সাথে সংসার করার থেকে না করা অনেক ভালো অনেক।
আমিঃভালো যখন তখন করিস না।এতোদিন ধরে তোর সব অন্যায় কাজ মুখ বুঝে সহ্য করেছি,,কিন্ত আর না।তুই যেতে পারিস
নিলা আর কিছু না বলেই হনহন করে উপরে চলে গেলো।আমি আম্মুর কাছে নিলার হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলাম।কিছুক্ষনের মধ্যে নিলা ব্যাগ গুছিয়ে নিচে চলে এসেছে,,
নিলাঃগেলাম আমি,,এই বাসায় থেকে বোরিং হয়ে গেছি..
আমি আর নিলাকে আটকালাম নাহ।নিলা চলে গেছে
২ঘন্টা পর নিলার আব্বু ফোন।
আমি কল রিছিভ করে সালাম দিলাম
নিলার আব্বুঃবাবা তোমার আর নিলার কি কিছু হয়েছে??
আমি তারপর সব বললাম
নিলার আব্বু বললো আচ্ছা বাবা তুমি চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে মেয়ে আমার একটু জেদি।
কল কেটে দিলো।আমি সেদিন রাতে আরো বেশি করে মিস করছিলাম নিলাকে।এতোদিন তবুও মেয়েটাকে দেখেছি,,কিন্তু আজ দেখতেই পেলাম না।অনেক কষ্ট হচ্ছে আমার।রাতে কিছুতেই ঘুম আসছিলো না যদিও গত কিছুরাতে আমি ঘুমাতে পারি না।ঘুমানোর জন্য মাঝে মাঝে ১টা করে ঘুমের ট্যাবলেট খাই।নিলাকে মিস করছিলাম তাই নিলাকে কল দিলাম।
কল দিচ্ছি আর নিলা কেটে দিচ্ছে।কিন্ত্ আমি তবুও কল দিয়ে যাচ্ছি এই আশায় একবার যদি কল রিছিভ করে পাগলিটার কণ্ঠস্বর শুনতে পারবো,তাতেই অনেক।
কলের পর কল দিচ্ছিলাম
একসময় ধরলো
নিলা;অই তোর কি কোনো কাজ কাম নেই।এতোরাতে আমাকে এতোবার করে ফোন দিচ্ছিস কেনো??
ও হ্যা তোর তো সত্যি কোনো কাজ কাম নেই।সারাদি টোটো করে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া।
আমি;আমি তোমাকে ভালোবাসি নিলা।প্লিজ আমার কাছে চলে এসো,,খুব কষ্ট হচ্ছে আমার।
নিলাঃভালোবাসিস সেটা অন্য কাওকে গিয়ে বলবি কেমন।আমি আর তোর কাছে কোনোদিন যাবো না।একবার গিয়ে অনেক বড় ভুল করে ফেলছি।আগে যদি জানতাম এমন হবে তোর মতন ছেলের সাথে কোনো দিন মিশতাম নাহ।ছোটলোক কোথাকার ফোন রাখ,আর কখনো আমার নাম্বারে কল দিবি না।
আমিঃপ্লিজ এমন করো না,,তুমি না আমার বিয়ে করা বউ...
নিলাঃআমি তোকে ডিভৌস দিয়ে দিবো।
নিলার মুখে ডিভৌসের কথা শুনে নিজেকে আর সামলে রাখতে পাড়লাম নাহ,,কেঁদে দিলাম,, নিলা আমার কান্না শুনছিলো।
নিলা বললো দেখ যা হবার হয়ে গেছে,,আবেগের বসে মানুষ কত কিছু করে,,যা হয়ে গেছে তা তুই ভুলে যা।
আমি;কি করে ভুলবো তোমায় বলো।কি করে ভুলবো তোমার সাথে কাটানো দিন গুলো।আমি ভুলতে পারবো না,আমার পক্ষে সম্ভব না।
নিলাঃসেটা তোর ব্যাপার,, কিন্তু আমি সব ভুলে যেতে চাই।
আমিঃআচ্ছা আমি বেশি কিছু জানতে চাইবো না,,শুধু এটুকু জানতে চাই তুমি কেনো এমন করছো??
নিলা;তো আর কি করবো,,তুই এখনো বেকার,,তোর কাছে কিছু চাইলে তুই দিতেই পারবি না
আব্বু আম্মু কাছ থেকে আমাকে সব নিতে হয়।তার থেকে ভালো আমি তোকে ছেড়ে দিয়ে আব্বু আম্মুর কাছেই থাকবো।।
আমিঃআচ্ছা ভালো থেকো..রাখি.
কল কেটে দিলাম,,নিলার কথা যত শুনছিলাম তত বেশি কষ্ট পাচ্ছিলাম।আমি বেকার বলে নিলা আমার থেকে দূরে সরে গেলো।কিন্তু নিলা আমি তো তোমাকে কাছে টেনে নিয়েছিলাম না।তুমি নিজেই টেনে নিয়ে আবার নিজেই দূরে সরিয়ে দিলে।কিন্তু কেনো??
অহ হ্যা আমি তো বেকার তার জন্য।
এইভাবে কেটে গেলো ১৫ দিন আমি আসা থেকে বের হয়না।
কলেজে যায় না
কিন্তু সামনে পরিক্ষা তাই কলেজে যেতে হবে।
আমাকে এখন দেখতে একদম পাগলের মত।
যেমন ছিলাম তেমন ভাবেই কলেজে চলে গেলাম।
আজকে হেটেই যাচ্ছি।সাইকেই ব্যাবহার করি না
তুলে রেখে দিছি।
কলেজে গিয়ে দেখি নিলা আর তার বান্ধবীরা আড্ডা দিচ্ছে।
আমি নিলাকে দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পাড়লাম নাহ।
ছুটে নিলার কাছে চলে গেলাম
নিলার কাছে যাবার পর নিলার হাত ধরলাম
নিলা আমাকে দেখেই রেগে গেছে তার উপর হাত ধরেছি,,
নিলা আমাকে সজোরে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলে
এই ছোটলোক তোর সাহস কি করে হয় আমার হাত ধরার।
আমিঃনিলা তুমি আমার
আমি তোর কি শুনি,,আমি তোর কেও না,আমার কথা পুরোটা শেষ করার আগেই নিলা কথাটা বললো
আমার ভালো লাগছে না গত কয়েকদিন ধরে সময় মত খাই না।ঘুমাই না শরীর এমনিতেই দূর্বল ছিলো তার উপর রোদে হেটে এসেছি,,
খুব খারাপ লাগছে,
আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলাম
নিলা;কিরে কিছু বলছিস না কেনো??
আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতেই পারছিলাম না
মাথাটা ঘুরছে
আমি বসে পড়লাম।
নিলাঃকিরে ভিক্ষা করবি নাকি এমন ভাবে বসে আছিস কেনো?
কিছু বলছি না চুপ করে বসে আছি,,নিলা রেগে সেখান থেকে চলেই গেলো।
আমিও নিলার পেছন পেছন চলতে শুরু করলাম।
খুব কষ্ট হচ্ছে,,তবুও নিলার পেছন নিয়েছে হঠাৎ
আবারো আমার মাথা ঘুরে যায়।এইবার আর নিজেকে সামলাতে পাড়লাম না।মাথা ঘুরে মাথা ঘুরার কারনে এবার আমি পড়ে যায়।
কিছু মনে নেই আর তারপর।
To Be Continue
No comments :
Post a Comment