রোমান্টিক শয়তান পর্ব 8

#Romantic_Devil
#অন্ত_নীলা
#পর্ব_৮
.
.
.
.
devil এখন কলা খাও আমাকে পাওয়ার স্বপ্ন কোনদিন পূরণ হবে না আমি অন্য ছেলেকে বিয়ে করব হি হা হা হা হা।
.
.
অনেক দিন হয়ে গেল মিম ভার্সিটি আসছে না।
শুভ্র ত একেবারে রেগে আগুন। এই মেয়ে কেন আসছে না।
শুভ্র মিমের খোঁজ নিয়মিত রাখছে।
তবুও মিমকে দেখার জন্য তার হৃদয় খা খা করতেছে।
মিম কে একবার হাতের কাছে পেলে শুভ্র ওকে আচ্ছা করে মজা দেখিয়ে দিবে।
কিন্তু পাচ্ছেও না।
আবার মিমের বাসায় যেতেও ভরসা পাচ্ছে না।
যদি শুভ্র বাসায় গেলে মিমের বাবা মা মিমের উপর রাগ করে। এই ভয়ে।
.
মিম একা একা গুনগুনিয়ে গান গাচ্ছে। আগামী পরসু তার বিয়ে। কাল হলুদ ইশ কি মজা ডেভিলটার থেকে একদম বেঁচে যাচ্ছি। আকাশ হালকা মেঘ করেছে।
মিম গান ধরল,,,,
আকাশ এত মেঘলা যেয়ো নাকো একলা
, এখনি নামবে অন্ধকার ;
ঝড়ের জল - তরঙ্গে নাচবে নটি রঙে :
ভয় আছে পথ হারাবার ।
আকাশ এত মেঘলা যেয়ো নাকো একলা ।
গল্প করার এইতো দিন মেঘ কালো হোক মন রঙিন ।।
সময় দিয়ে হৃদয়টাকে বাঁধবো নাকো আর ।
,
বাহ বাহ আমার মেয়ে দেখি গান গাচ্ছে।
,
মিম লজ্জ্বা পেয়ে গেল।
.
বাবা তুমিওনা।
.
লজ্জাও পাচ্ছে।
হাহাহাহা।
.
হাসতে হাসতে মিমের ঘর থেকে বের হয়ে যায় মিমের আব্বু।
.....
মিম নুফতি কে ফোন দেয়।
হ্যালো নুফতি!
.
হ্যা বল।
তুই ত সেদিনের পর গায়েব ই হয়ে গেলি। আমি রাগ করে তোরে ফোন ও দেইনি তোর বাসায় ও যাইনি।
.
আরে শুন শুন এমন একটা খবর দিব তোর রাগ নিমেষেই গায়েব হয়ে যাবে।
.
হ্যা বল।
.
পরশুদিন আমার বিয়ে।
.
কিইইইইইইই?
.
হ্যায়ায়ায়ায়া।
.
অই ভূতনি পরশুদিন তোর বিয়ে আর তুই আজ আমায় বলতেছিস?
.
আমি কোনোভাবেই চাচ্ছিলাম না যে ডেভিল টা জানুক আমার বিয়ে। তাই কাওকেই দাওয়াত করিনি। আর তোরেও এট the last moment e বল্লাম।
প্লিজ রাগ করিস না।
আর কাল ত হলুদ তুই কাল ই আসবি বাসায়।
.
তোর বর দেখতে কেমন রে? কি করে সে?
.
দেখলে ত বলব দেখতে কেমন!
বাবার ব্যাবসা দেখাশুনা করে শুনেছি।
.
হায়হায় সামনাসামনি কথাও বলিসনি?
.
না ডেভিলের জন্য কোনো রিস্ক নিতে চাচ্ছিনা। বিয়ের পর বরের সাথে একেবারে প্রেম করব।
.
অলে অলে পাকনানা বুড়ি।
.
কাল সকালেই আসবি এখন রাখি।
মিম ফোন রেখে দিল। তার জীবনটা হঠাত করে রঙিন হয়ে উঠেছে।
এত আনন্দ কোথায় রাখবা মিম?
.......
মিম একা ননয় সারাটা বাড়ি আজ হলুদের সাজে সেজেছে। আনন্দে চারিদিক ভরে উঠেছে।
হলুদের শারি পড়ে মিমজে একেবারে পরির মত লাগক্সহে।
বাসার গেইট অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
মিম শুধু সব কিছু মূগ্ধ চোখে দেখছে।
সব ই যে তার এত ভাল্লাগছে।
তাকে হলুদ দেয়া হচ্ছে সবাই বিভিন্ন রকমের ফাজলামি করতেছে মিমম সেগুলো কানে নাড়ছেনা।
.
এত ভাল লাগার মধ্যেও মিমের মনে একটা ভয় কাজ করতেছে।
যে মানুষ টাকে সে জীবনে কখবো দেখেনি তার সাথে মিমের বিয়ে হতে যাচ্ছে।
কে জানে সে কেমন হবে!
সে কি মিম কে ভালবাসবে?।
যদি ভালনাবাসে তখন কি করবে মিম? আচ্ছা তার কি আগে প্রেমিকা ছিল? কে জানে। আচ্ছা যদি প্রেমিকা থাকে তাহলে তাকে ছেড়ে ছেলেটার মিমকে বিয়ে করা লাগতেছে।
ছেলেটার না জানি কত কষ্ট হচ্ছে আর অই মেয়েটারো।
নাহ এমন টা করা একদম ই ঠিক হয়নি। একবার অন্তত ছেলেটার সাথে দেকখা করা উচিত ছিল।
.
হঠাত করেই হেসে দেয় মিম।
ধ্যাত কী ভাবতেছি।
আমি জীবনে প্রেম করিনাই তাইলে আমার বর প্রেম করনে কীভাবে?
আমি life long single সে ও life long single i হবে।
.
কিরে হাসছিস যে?
দুলাভাই কে মনে পরে গেল নাকি।
.
নুফতি তুই ও না!
।
দেখিস আবার দুলাভাই কে আচলে বেধে রাখিস। সে যেনো আমায় লাইন না মারে।
.
আমার বর তোকে লাইন মারতে যাবে কোন দুঃখ এ?
.
শালি আধে ঘারওয়ালি বুঝছিস।
.
হুহ আমার বর শুধু আমার।
তুইই আধে ঘারওয়ালি হিসেবে আমার বাসায় গিয়ে আমার ঘর মুছে দিস আর আমার বরের কাপড় কেঁচে দিস। বাকি টুকু আমি সামলে নিব।
.
কি বল্লি তুই?
.
আর মাঝেমাঝে মশলা পিসে দিস।
.
মিম তুই ও না।
.
হিহিহি।
.......
আজ মিমের বিয়ে সুন্দর করে শাড়ি পড়েছে সে। বাসাটাও প্রচুর সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
মিমের দিকে আজ যে তাকাবে সে তার উপর ফিদা হতে বাধ্য।
বাসার gate এ লেখা হয়েছে Mim weds Soxib.
লেখাটার উপর বাতি দেয়া লেখাটা জলছে।
.
মিমের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি আসতেছে।
হিহি ডেভিলটা কে ফোন করে বলি আমার বিয়ে।
কি মজা হবে!
ডেভিলটা জলে পুরে ছাই হয়ে যাবে।
আর আমি নাচব।
.
বেশ হয়েছে।
.
এমন সময় বাইরে শব্দ। বর এসেছে বর এসেছে,,,,,
মিম ভীষণ লজ্জা পাচ্ছে।
নুফতি বলল,,,
যাই তোর বরকে দেখে আসি।
আর গেইট ধরা পা ধোয়া আআর হাত ধোয়ানোর টাকা নিয়ে আসি।
.
নুফতি গেইট এ গেলো। মিম একা বসে আজগুবি ভাবতেছে।
সে আগে তার জামাই এর সাথে বন্ধুত্ব করে নিবে।
সারা সপ্তাহ না পারুক সপ্তাহে একদিন কাছাকাছি আর মাসে একবার দূরে কোথাও ঘুরতে যাবে ওরা।
ওর জামাই ওকে ভালবাসার চাঁদরে মুড়িয়ে রাখবে।
.
অই মিম
.
কি হইছে?
.
সর্বনাশ
.
মানে?
.
তোর জামাই ভীষণ কিপটা।
গেইট পা ধোয়ানো কোনো যায়গাতেই টাকা বের করতে পারলাম না। এমন একটা কিপ্টা লোককে বিয়ে করতে কীভাবে রাজি হইলি?
আর দেখে মনে হইতেছে বিয়ে করতে আসেনাই।
মরা বাড়িতে আসছে। চোখ লাল লাল। উল্টা পাল্টা কিছু খায়ে আসছে হবে।
ছেলেটাকে আমার একটুও সুবিধার মনে হচ্ছে না।
এর চেয়ে শুভ্র ভাইয়া ঢের গুনে ভাল ছিল।
..
তখনি বাসায় আলোড়ন সৃষ্টি হল।
নুফতি বলল আমি গিয়ে দেখে আসি।