খুব ভালোবাসি তোমায় পর্ব ২

....খুব ভালোবাসি তোমায়(২য় পর্ব)....
লেখক: রাশেদ হাসান
।
(আগেই বলে রাখি আমি কপি করে লিখি না আমার সব গল্প আমি নিজেই লিখি)
।
তুবা রেগে চলে যাচ্ছে।।আর অরনব ভাবতেছে (এবার নেও ঠেলা আমাকে ভালোবাসিস কিন্তু বলবি না এটা কেমন কথা।।আরও ভাবতেছে যে এই ভালোবাসার কথাটা তুবার মুখ হতে বাহির করবো।।।)।।আর তুবা চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর অরনবও বাসায় চলে আসে।।।
আর সেদিন তুবা বাসায় গিয়ে অনেক কাদে আর প্লান করে যে অরনব হারামিকে উচিত শিক্ষা দিবে।।
।
পরেরদিন অরনব ভার্সিটিতে একটু দেরি করে আসে।।।আর ভার্সিটিতে আসার পর অরনব ছোট খাটো একটা ধাক্কা খায়।।।কারন অরনব দেখতে পারে যে তুবা অন্য একটা ছেলের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।।।তাই অরনব তুবার কাছে গিয়ে প্রশ্ন করে।।
>কে রে এই ছেলে??? (অরনব)
>তা জেনে তোর কাজ কি।।।(তুবা)
>আমার কাজ আছে বল এই ছেলেটা কে।।।ওর সাথে কথা বলতেছিস কেন??(অনেকটা রেগে গিয়ে কিন্তু রাগপ্রকাশ না করে বললো অরনব)
>ওর সাথে কথা বলবো না তো কার সাথে কথা বলবো।।।(তুবা)
>মানে???ও তোর কি হয়।।।(অরনব)
>ও আমার বিএফ।।।(মিথ্যা বললো তুবা)
।
তুবা মিথ্যা বললো কারন অরনব গতকাল ওই মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলেছে তাই।।।কিন্তু অরনব ও সেই চালাক তাই তুবা যে মিথ্যা বলেতেছে তা সে বুঝে ফেলে।।।কারন তুবা যদি প্রেম করবতো তবে অরনবকেই সবার প্রথম জানাতো আর অরনব জানতো কলেজ লাইফ হতে এই পর্যন্ত তুবা অনেক ভালো ভালো ছেলের কাছে হতে প্রপোজ পেয়েছে কিন্তু কারোটাই গ্রহন করে নি কারন তুবা অরনবকে খুব ভালোবাসে।।আর এই বিশ্বাস হতে অরনব বুজতে পারে তুবা মিথ্যা বলছে।।আর তখনি অরনব দেখতে পারে যে কালকের অই মেয়েটা কিছুটা তাদের কাছে হতে কিছুটা দূরে গাছের নিচে একা একা বসে আছে আর তখনই অরনবের মাথায় একটা দুষ্টামি বুদ্ধি চাপে ।।।আর অরনব দেরি না করে কালের ও মেয়েটার কাছে গিয়ে কথা বলা শুরু করে।।।।আর এই দিকে তুবা অরনব আর ওই মেয়েটাকে দেখতেছে ওরা দুইজনে কি করে আর রাগে লুচির মতো ফুলতেছে।।।আর এইদিকে অরনব ওই মেয়ের সাথে আরও হেসে কথা বলতেছে তাই তুবার আর সহ্য করতে না পেরে অরনবের কাছে গিয়ে ওকে গিয়ে
>ঠাসসসসসসসস(চড় মারলো তুবা)
>কিরে মারলি কেন।।।(অরনব)
>...........(চুপ করে আছে তুবা)
>কিরে মারলি কেন???(অরনব)
।
।
তারপর তুবা অরনবের কলার ধরে বলতাছে তুই ওই মেয়ের সাথে কথা বলতাছোস কেন??(অনেকটা রেগে গিয়ে বলতাছে)
।
>তাতে তোর কি আমি ওই মেয়ের সাথে কথা বললে???(অরনব)
>আমার অনেক কিছু..(তুবা)
>কেন??(অরনব)
>কারন আমি তোকে আমি তোকে......(বাকি কথা বলতে পারলো না তুবা)
>তুই আমাকে কি??(অরনব)
>কিচ্ছু না।।(তুবা)
।
।
এরপর তুবা কিছু না বলে ওই জায়গা হতে কাদতে কাদতে চলে যাইতেছিল।।।।আরএ
ইদিকে অরনব ভাবতেছে পাগলিটাকে সে অনেক কাদিয়েছে।।।আর না তাই অরনব আর দেরি না করে পিছনে হতে এসে তুবার হাত টান দিয়ে ধরে বললো:কিরে কই যাস।।।
>মরতে যাই(এখনও কাদতেছে আর কাদতে কাদতে বললো।।)
।
তারপর অরনব দেরি না করে হাটু গেরে বললো যে:
আমার কবিতার লাইন গুলো তুমি যাকে ছাড়া,আমার কবিতা অর্থহীন।।।
আমার উপন্যাসের সেই নায়িকা তুমি,যাকে ছাড়া আমার উপন্যাস শুকনো পাতার মতো।।।
আর আমার ভালোবাসার জীবনের সেই ভালোবাসা তুমি,যাকে ছাড়া আমার জীবন অচল।।
তুমি কি আমার সেই জীবনে সেই ভালোবাসার মানুষ হবে যার জন্য আমার জীবন সচল হবে।।।
।
।
আর এইদিকে অরনব বুজে উঠার আগে তুবা অরনবকে কাদতে কাদতে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।।।
>এই কি হচ্ছে এটা আমার শার্টতো ভিজে যাচ্ছে তো।।।(অরনব)
>ভিজুক।।।।।আমার future habbi র শার্ট আমি একশবার হাজারবার ভিজাবো তাতে তোমার কি।।।(তুবা)
>হুম তাই তো??(অরনব)
।
আর এভাবে জড়িয়ে ধরে রইল তারা দুইজনে।।।আর এভাবেই তাদের ভালোবাসা পূর্নতা পেল।।
।
।
(পাঠক/পাঠিকাদের কাছে অনুরোধ রইলো যে গল্পটা কেমন হল সবাই জানাবেন)