পালাবো না পর্ব ৫

গল্প: #পালাবো_না
লেখক: #রাজ
পার্ট : ৫
!
তাছিনা ঠিক সময়ই উপরে চলে আসে,
--- 😱😱😱 এই পরীটা কোন গ্রহ থেকে নামলো😊(রাজ)
--- উগান্ডা থেকে, এখন কি প্ল্যান করেছেন সেটা বলুন😒(তাছিনা)
আমি কিছু ব্যন্ডেজ বের করলাম!
---- ওমা! আমি বলেছি আংটি 💍পরাতে, আর আপনি ব্যন্ডেজ বার করছেন কেনো?
--- হ্যা তোমাকে আংটি পরিয়ে দেই, আর ওখানে গিয়ে বলো রাজ আমাকে আগেই আংটি পরিয়ে ফেলেছে,আমার এজ্ঞেজমেন্ট
রাজের সাথে হয়ে গেছে😈( রাজ)
--- আচ্ছা ঠিক আছে, তাই করবো🙊(তাছিনা)
--- পাগলি বলে কি!
"
আমি পকেট থেকে আংটিটা বের করে,,রোমান্টিক মোড নিয়ে হাটু গেরে বসলাম, তাছিনার হাতে আংটিটা পড়িয়ে দিলাম,
তারপর ওর হাতে চুমু খেয়ে বললাম,
--- উইল ইউ মেরি মি?(রাজ)
---নো...😒এই বলে তাছিনা আমাকে জরিয়ে ধরে রাখলো, আর ছারছে না,
--- কি হলো এবার তো ছারো, ওদিকে সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।(রাজ)
--- না ছারবো না....আমি ওখানে যাবোনা 😒(তাছিনা)
--- মাথা খারাপ না'কি,ছারো তোমার হাতে ব্যন্ডেজ করতে হবে।(তাছিনা)
আমি তাছিনার হাতে আংটিটার উপর দিয়ে ব্যান্ডজ করছি, আর ও আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,
--- আচ্ছা আপনি এ মূহুর্তে আংটি পেলেন কোথায়?(তাছিনা)
--- আরে মেম, আমি আগে থেকেই জানতাম ' আমাকে এরকম সিচুয়েশন এর মুখুমুখি হতে হবে তাই আসার সময়ই নিয়ে এসেছিলাম।(রাজ)
তাছিনাকে নিচে পাঠিয়ে দিলাম,
একটু পর আমিও নিচে চলে আসলাম;
!
যখনি তাছিনার হাতে আংটি পরাতে যাবে,
ওর হাতের ব্যন্ডেজ দেখে সবাই জিজ্ঞেস
করছে হাতে কি হলো...
সবাই একই কথা...
সবার প্রশ্নের সমূখে তাছিনা হতভম্ব হয়ে গেলো কি বলবে বুঝতে পারছে না,
তাই আমি এগিয়ে গেলাম সবাইকে সামাল দিতে,
--- তাছিনার আঙুলটা মচকে গিয়ে ফুলে উঠেছে তাই আমিই ব্যান্ডেজ করে দিয়েছিলাম,
এক কাজ করুন ব্যান্ডেজ তো আঙুলের গুড়ায়, আপনি আংটিটা আঙুলের উপরে কোনো রকমে পরিয়ে দিন,
আঙুল ভালো হয়ে গেলে ভাল করে পরে নেবে কেমন।( ছেলেটাকে উদ্যেশ্য করে রাজ)
এজ্ঞেজমেন্ট অনুষ্ঠান শেষে মাকে দেখতে পেলাম,
--- মা!!! তুমি কখন এলে?
--- তুই তোর রুমে আয়, তোর সাথে কথা বলার আছে!!
রুমে এসে মা দরজা বন্ধ করে দিলো,
তাহলে মা কি সব জেনে গেলো?
--- কি কথা মা?
--- আমি এসে যখন তোকে খুজতে ছাদে গিয়েছিলাম, তখন.....
তুই এসব কি শুরু করলি ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, কত কিছুর আয়োজন করা হচ্ছে,এই মূহুর্তে তোরা ছিহ্.. আমি ভাবতে পারছি না তুই কি করে এমন করতে পারিস।
--- কিন্তু মা আমিতো তাছিনাকে ভালবাসি,
--- এতদিন কোথায় ছিলো তোর ভালবাসা, এতদিন কেনো বলিসনি আমাকে?
--- এবার এসেই বলভো ভাবছিলাম, তার মধ্যেই বিয়ের খবরটা পেলাম😫😫
--- তুই ওকে ভুলে যা বাবা এখন আর কিছু করার নেই, আমিও এই মূহুর্তে কিছুই করতে পারব না😰😰😰।
----আমি না হয় ভুলে গেলাম কিন্তু সে'কি পারবে,তাছিনা আমাকে এটাও বলে রেখেছে ওর টেবিলে বিষের শিশি রাখা আছে, আমি এখন কি করবো মা,,, কি করবো😫😫😫 (কাঁদতে কাঁদতে রাজ)
--- কি বলছিস এসব!!! তুই ঠিক কর এখন কি করবি , তবে কারো জেনো কোনো রকম ক্ষতি না হয়, আমি আর কিছু বলতে পারবো না।এই বলে মা চলে গেলো,
!
সবাই আমাকে আসলে কি ভাবে তা আমি বুঝতে পারিনা, আমিওতো একটা মানুষ না'কি।
"
মা বেরুতেই কিছুক্ষন পর খালা এসে রোমের দরজা বন্ধ করে দিলো,
---কি হলো খালা!?(রাজ)
---আমি ওর রোমের কাছে যেতেই দেখলাম তাছিনা হাতে একটা বিষের শিশি নিয়ে বলছে, (খালা)
---এই বিয়েটা যদি করতে হয় তাহলে সেদিন আমার বাঁশর রাত হবেনা হবে জানাযার নামাজ,(তাছিনা)
--- তুই একটা কিছু কর বাপ,তাছিনাকে তুই পারবি বোঝাতে যাতে ও কোনোরকম অগটন না গটায়, তাছিনা কোন ছেলেটার জন্য এসব বলছে ঐ ছেলেটাকে তুই খুজে বের কর, ঐ ছেলেটাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বল যাতে তাছিনাকে ফোন করে বলে ও তাছিনাকে চায়না, 😰(খালা)
" আমি আর কথা বলতে পারছি না, একদম বোবা হয়ে গেলাম, আমাকে মানুষ থেকে সবাই মিলে পাথর বানিয়ে দিয়েছে,
---কি হলো কথা বলছিস না কেনো, তোর খালার জন্য এটুকু করতে পারবি না, কি হলো কিছু একটাতো বল,,,,,, কি হলো বল??(খালা)
--- ঐ ছেলেটা আর কেউ নয় খালা!!!!!!!!!
চলবে,...............?