হঠাৎ পাওয়া ভালোবাসা পর্ব ৪ (শেষ পর্ব)

গল্প: 💜💜 হঠাত ভালোবাসা।💜
৪র্থ এবং শেষ পার্ট
মিম ধিরে ধিরে আমার দিকে এগিয়ে আসতেছে। আমি সেটা দেখে বললাম
।
আমি: তুমি ওভাবে আমার দিকে আসতেছো কেন
।
মিম: নিশ্চুপ
।
আমি: প্লিজ মিম কিছু করো না
।
মিম: কেন করলে কি করবে
।
আমি: কেউ দেখলে খুব খারাপ হয়ে যাবে
।
মিম: কেউ দেখবে না চুপ করে থাক তো
।
আমি নির উপায় হয়ে বিছা নায় শুয়ে থাকলাম।
।
মিম ধিরে ধিরে আমার কাছে এসে আমার বুকের উপর চরে বসলো
।
সেটা দেখে আমি বললাম
।
আমি: মিম বোঝার চেষ্টা করো প্লিজ
।
মিম আমার কোন কথায় কান না দিয়ে ও এক মনেই আমার মুখের দিকে ওর মুখ আনতেছে
।
যত মিম আমার মুখের কাছে ওর মুখ আনতেছে আমি বুঝতে পারতেছি
।
মিমের শ্বাস প্রশাস টা বৃদ্ধি পাচ্ছে
।
মিমি ধিরে ধিরে আমার ওর মুখ টা নামিয়ে নিয়ে ওর নাকের সাথে আমার নাক টা ঘসা ঘসি করতেছে
।
এমন তো অবস্থায় মিম আমাকে খুন শক্ত করে জড়েয়ে ধরলো
।
( আসলে সত্যি কথা বলতে কি আমার ও খুব ভালো লাগতেছিলো
।
আমার ও খুব ইচ্ছা করতেছিলো যে মিম কে একটু জড়িয়ে ধরি
।
কিন্তু সাহস হয় না কারন ওর আর আমার সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না
।
আমি এসব ভাবতে ভাবতেই মিমকে বললাম
।
আমি: মিম ছাড়ো প্লিজ
।
মিম: না আমি ছাড়বো না
।
আমি: কেন ছাড়বে না। না ছাড়লে কিন্তু তোমার আম্মু কে ডাক দিবো
।
মিম: দাও ডাক দেখ কাকে অপমান করে
।
আমি মনে মনে ভাবলাম আসলেই তো আমাকেই অপমান করবে
।
মিম আমাকে চুপ থাকা দেখে ও নিজেই আমার গলার ভিতর দিয়ে ওর
।
একটা হাত ডুকে দিয়ে আমার গলা টা একটু ভাসিয়ে তুললো
।
এখন আমি মিমের শ্বাস প্রশাস এটা ভালো ভাবে বুঝতে পারতেছি
।
দেখতে পারতেছি মিমের ঠোট দুটো ধিরে ধিরে কাপতেছে
।
আসলেই মিমের ঠোট দুটো অনেক সুন্দর
।
ও আমার গলাটা ওর মুখের কাছে নিয়ে গিয়ে এক মনেই আমার দিকে তাকিয়ে আছে সেটা দেখে আমি বললাম
।
আমি: কি দেখ ওভাবে
।
মিম : তোমাকে
।
আমি: আমাকে বুঝি আগে দেখ নি
।
মিম: এভাবে কখনো দেখি নাই
।
মিমের কথা গুলো শুনে আমার ও খুব মায়া হলো আর ইচ্ছা করতেছে না ওকে আমার বুক থেকে সরাতে তবু ও বললাম
।
আমি: মিম
।
মিম: কি
।
আমি: এখন প্লিজ আমার বুক থেকে নামো
।
মিম: নামবো না পারলে তুমি নামাই দাও
।
মিমের এই কথা শুনে আমি আর কিছু বললাম না
।
আর ওকে আমি ও বুক থেকে নামালাম না
।
মিম ধিরে ধিরে ওর ঠোট দুটো আমার ঠোটের দিকে নিয়ে আসতেছে
।
যখন মিম ওর ঠোট দুটো আমার ঠোটের সাথে লাগাতে যাবে তখনি রুমের বাহির থেকে আন্টি ডাক দিলো
।
আন্টি : বাবা শাহরিয়ার আসো রাতের খাবার খেয়ে যাও
।
টপ করে মিম বলে উঠলো
।
মিম: মা শাহরিয়ার এখন খাবে না আর ও খেলে আমি খাইয়ে দিবো । যাও তো শুধু শুধু বিরক্ত করি ও না তো
।
আমি: ওই তুমি আন্টি কে বকা দিতেছো কেন
।
মিম: ওই তাতে তোর কি চুপ করে থাক তুই
।
আন্টি: ওকে ঝগড়া করা লাগবে না আমি যাইতেছি আর বেশি রাত করে গল্প করা লাতলগবে না
।
তারাতারি ঘুমাতে যাবে বাবা শাহরিয়ার
।
আমি: কি আন্টি
।
আন্টি: ওকে তারাতারি ঘুমাতে যেতে বলবা আর তুমি ও তারাতারি ঘুমাবা
।
আমি: ওকে আন্টি গুড নাইট
।
আন্টি: গুড নাইট
।
আন্টি বলেই চলে গেলো দেখতেছি মিম অগ্নি দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে আমার দিকে
।
এটা দেখে আমি বললাম
।
আমি: ওভাবে তাকা বে না আমার দিকে
।
মিম: কেনো
।
আমি: আমার ভয় করে
।
মিম: দারাও তোমার ভয়টা আমি বের করতেছি
।
বলেই মিম আমাকে আবার বিছানায় ফালাই দিয়ে এবার সোজা
।
এসে আমার উপর চরে ওর ঠোট দুটো আমার ঠোটের মধ্যে ডুকিয়ে দিলো
।
( কি যে মজা লাগতেছিলো আপনাদের বোঝাতে পারবো না)
।
ও ভাবেই ও রাত পার করার পর আমাদের দুষ্টি গুলো ওভাবেই চলতে ছিলো
।
এর মধ্যে আমি ও মিম কে অনেক টা ভালো বেসে ফেলছি
।
এর চার বছর পর আমার পড়ালেখা শেষ হওয়ার পর
।
মিমের আব্বু ওনার কোম্পানি তে এম ডির চাকরি দেয়
।
চাকরি হওয়ার কিছু দিন পর মুমের আব্বুআমাকে বলে
।
আব্বু: বাবা শাহরিয়ার একটা কথা বলতাম
।
আমি: বলেন
।
আব্বু : আমি যানি মিম তোমাকে অনেক লাভ করে তুমি যদি ওকেবিয়ে করতে তাহলে ও খুশি থাকতো
।
আমি: আংকেল আমি রাজি আছি আমার আআব্বু আম্মুর সাথে কথা বলেন আপনি
।
ওকে বাবা আমি এখন আসি বলেই মিমের আব্বু চলে গেলো
।
এর ১ সপ্তাহ পর আমাদের বিয়ে হলো
।
আমি বাসর ঘড়ে ডুকে দেখলাম বউ আমার খাটে বসে আছে
।
আমি গিয়ে বললাম
।
আমি: এত দিন তো খুব দুষ্টমি করছো
।
মিম: হুম করছি তো
।
আমি: সেটার শুধে আসলে আজকে তুলে নিবো
।
মিম: আমি বসে থাকবো নাকি আমি ও নিবো হুম
।
আমি: ওকে দেখা যাক কে হারে আর কে যিতে
।
বলেই আমরা দুজনে ভাসতে ভাসতে চলে গেলাম অজানা এক সুখের ঠিকা নায়
।
।
সমাপ্ত,,