#ভাবনার_গহীনে
writer Afroja
Part 21 :
_Good morning my Queen 😙😙😙 (আফরাজ)
_লজ্জায় আফরাজের বুকে মুখ গুজে দিয়ে good morning (রুপাঞ্জনা)
_দেখি দেখি , আমি একটু দেখি , কে যেন লজ্জা পাচ্ছে (আফরাজ)
_দেখা লাগবে না (রুপাঞ্জনা)
_না একটু দেখি (আফরাজ)
↓
ক্রিং ক্রিং......
↓
_দেখি একটু ছাড়েন আমার কল আসছে , (রুপাঞ্জনা)
_যদি না ছাড়ি (আফরাজ)
_উফফফফফফ 😡😡 মনি কল দিয়েছে মনে হয় (রুপাঞ্জনা)
_ওহ ok ok (আফরাজ)
↓
বিছানার পাশে রাখা টেবিলের উপর থেকে হাত দিয়ে মোবাইল টা নিয়ে আবার আফরাজের হাতের উপর শুয়ে পরে রুপাঞ্জনা
↓
_হ্যালো , (রুপাঞ্জনা)
_হ্যালো ম্যাম , আপনি কোথায় , আসছেন না যে এখনো (মনি)
_ওহ সীট , ৯ টা বেজে গেছে , ঘুমিয়ে ছিলাম তো বুঝতেই পারি নি (রুপাঞ্জনা)
↓
আফরাজ হাতের ইশারা দিয়ে রুপাঞ্জনাকে বলছে আজকে অফিসে না যেতে , কিন্তু রুপাঞ্জনাও বলছে যে না সে আজ অফিসে যাবে , তার জন্য আফরাজের রাগ হয় , মুখ ভার করে শুয়ে আছে
↓
_হ্যালো ম্যাম,,,, কথা বলছেন না যে (মনি)
_হ্যা হ্যালো মনি , আচ্ছা শুনো না আজকে অফিসের দিক টা তুমিই দেখো , আমি আজ আসছি না কেমন (রুপাঞ্জনা)
_কেন ম্যাম , কি হয়েছে , আপনি কি অসুস্থ নাকি , আসবো (মনি)
_নাহ নাহ আসতে হবে না , আমি একদম ঠিক আছি , পরে কথা বলবো (রুপাঞ্জনা)
↓
লাইন কেটে আফরাজ কে জড়িয়ে ধরে রুপাঞ্জনা ।
↓
কি হয়েছে , রাগ করেছেন কেন (রুপাঞ্জনা)
_.............
_আমি কিন্তু যাবো না , বলেছি (রুপাঞ্জনা)
_...............
_ঠিক আছে উঠে যাই (রুপাঞ্জনা)
_এই এই কই উঠবা , হ্যা এইখানে শুয়ে থাকো (আফরাজ)
_কোথায় (রুপাঞ্জনা)
_আমার বুকে , দেখো তো আমার নিঃশ্বাস শুনতে পাও কিনা (আফরাজ)
_শুনে কি হবে (রুপাঞ্জনা)
_তোমার নিঃশ্বাসের সাথে আমার নিঃশ্বাসের মিলন হবে (আফরাজ)
_বাহ বাহ উকিল সাহেব রোমান্টিক কথাও বলতে পারে (রুপাঞ্জনা)
_হুম পারি , এখন যেটা বললাম সেটা করো (আফরাজ)
↓
রুপাঞ্জনাও আফরাজের বুকে মাথা রেখে শুয়ে পরে । আর আফরাজ পরম আদরে রুপাঞ্জনার মাথায় বিলি কেটে দেয় ,
↓
_একটা কথা বলি আপনাকে (রুপাঞ্জনা)
_একটা কেন হাজার টা বলো রূপ (আফরাজ)
_কি কি বলে ডাকলেন আমায় , আবার বলেন তো (রুপাঞ্জনা)
_রূপ , তুমি তো চেয়েছিলে , আমি তোমাকে রূপ বলে ডাকি (আফরাজ)
_রুপাঞ্জনা টা আপনার মুখে বেশী মানায় (রুপাঞ্জনা)
_আচ্ছা বলো কি বলবা (আফরাজ)
_এতো দিন পর কেন এলেন , আর সেইদিন রাতে কেন এইভাবে বলেছিলেন , আমাকে বের করে দিলেন , আমার কত কষ্ট হয়েছে জানেন , আর নাজিফা তার ব্যাপার টা , এই চার টা মাস আমার কিভাবে কেটেছে জানেন আপনি , প্রতি রাতে কেদেছি আমি আপনার জন্য , বার বার মনে হয়েছে ছুটে যাই , কিন্তু ওইরাতে আপনার বলা আমাকে কথা গুলো আমাকে প্রচন্ড কষ্ট দিয়েছে {কেদে কেদে}(রুপাঞ্জনা)
↓
রুপাঞ্জনা কে বুক থেকে নামিয়ে পাশে বিছানায় শুয়ে দেয় আফরাজ । তারপর নিজে রুপাঞ্জনার উপরে হালকা ভর দিয়ে শুয়ে রুপাঞ্জনার চোখের পানি গুলো মুছে দিয়ে তার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে
↓
_তাহলে আমি বলবো , তুমি শুধু চুপচাপ শুনবে , কোন প্রশ্ন করবা না , আমার বলার শেষে তোমার সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো , কেমন (আফরাজ)
_হুম (রুপাঞ্জনা)
_তোমার সমস্ত অভিযোগ ঠিক , ওইরাতে আমার এইভাবে বলা ঠিক হয় নি , আমি বুঝতেই পারি নি এতো কিছু হয়ে যাবে বা তুমি চলে যাবে , তুমি কি জানো তোমার চিটি টা পাওয়ার পর আমি পাগলা কুকুরের মতন তোমাকে শুধু খুজেছি , কলেজ বলো তোমার বান্ধবী বলো সবার কাছ থেকে তোমার খোজ নেয়ার কত চেষ্টা করেছি । পাই নি , তুমি কখনো ছেলেদের কাদতে দেখেছো রুপাঞ্জনা , আমি কেদেছি , তোমার ছবি বুকে নিয়ে প্রতি রাতে কেদেছি । তুমি চলে আসার পর বুঝতে পেরেছি তুমি কত টা importance রাখো আমার লাইফে । কখন যে তোমাকে এতো ভালোবেসেছি বুঝতেই পারলাম না , আর তুমি বোকাও আমাকে একবারের জন্য বলো নি যে তুমিও আমায় ঠিক ততটাই ভালোবাসো । এইবার আসি নাজিফার কথায় ,
একদিন নাজিফা আমায় কল করে , নাম্বার চিনতাম না বলে কল টা রিসিভ করি । তারপর ও বলে ও ঢাকায় এসেছে ওর সাথে যেন দেখা করি , প্রথমে ভেবেছিলাম দেখা করবো না , পরে ভাবলাম হয়তো কোন বিপদে আছে তাই স্বরণ করেছে । তাই গেলাম দেখা করতে , গিয়ে ওর সব কথা শুনলাম , দাড়াও তোমাকে ওর বেবির ছবি দেখাই । এই দেখো নাজিফার মেয়ের ছবি , নাজিফা হাজব্যান্ড এর সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি করে ঢাকা চলে আসছে ওর মেয়েকে নিয়ে , আতিয়া হয়তো তোমাকে বলেছিলো ওদের divorce হয়ে গেছে , নাহ ওদের divorce হয় নি , হবার কথা ছিল । এইসবের ব্যাপারে কথা বলার জন্য আমার সাথে দেখা করতে বলেছিল । পরে আমার কাছে একটা ভালো ফ্ল্যাট চায় যেইখানে তার মেয়েকে নিয়ে থাকতে পারে , তাই আমার একটা friend এর মাধ্যমে , বনশ্রীর ওই ফ্ল্যাট টা ঠিক করা দেই , হ্যা আমি রোজ যেতাম তার কারন ছিল নাজিফার মেয়েটা , ঠিক তোমার বোনের মেয়েটার মতন বাবুটা , খুব কিউট , ওই আমার সাথে দেখা করার জন্য বায়না ধরতো । তাই যেতাম । তারপর ওর husband এর সাথে আমি personally কথা বলি । ওনাকে ঢাকায় আনাই , তখন উনি আসে , আমার মাথায় কত চাপ ছিল তা তুমি ভাবতে পারবে না । তুমি চলে গেছো এইদিকে ওর husband আসছে । তাই সবার আগে ওকে ওর husband এর কাছে ফিরিয়ে দেয়াটা জরুরি ছিল , তা না হলে মেয়েটা বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হতো । এইসবের মাঝেও আমি তোমাকে খুজেছি , কিন্তু তুমি আমার কাছে আসো নি । ওইরাতে তোমার উপরে খুব মেজাজ খারাপ হয়ে ছিল । তার উপরে তুমি মিথ্যা বলেছিলে আমায় , যার কারনে আমি তোমাকে রাগের মাথায় অনেক বাজে কথাও বলেছিলাম যা বলা একদম উচিত হয় নি আমার । যার শাস্তি তুমি আমায় দিয়েছো । এই বলে আফরাজ রুপাঞ্জনার কপালে চুমু খায় । এখন বলো তোমার কি কি প্রশ্ন আছে (আফরাজ)
_নাহ কোন প্রশ্ন নেই (রুপাঞ্জনা)
_কেন , কোন অভিযোগ নেই ? (আফরাজ)
_নাহ , আগে ছিল এখন আর নেই (রুপাঞ্জনা)
_তাই (আফরাজ)
_হুম
তবে একটা জিনিস চাই (রুপাঞ্জনা)
_বলো কি চাও (আফরাজ)
_আপনাকে আর আপনার ভালোবাসা (রুপাঞ্জনা)
_তাই , তাহলে এখন কি একটু ভালোবাসা দিকে ক্ষতি হবে ? (আফরাজ)
_নাহ একদম নাহ , বরং অনেক ভালো হবে (রুপাঞ্জনা)
_তাই 😎😎 (আফরাজ)
_হুম 😊😊 (রুপাঞ্জনা)
↓
তারপর যা হলো , তাতে আর চোখ না বুলাই আমরা , স্বামী স্ত্রীর মাঝখানে আমরা বরং নাক না গলাই ,
↓
দুপুর বেলা ,
↓
আফরাজ রুমে বসে ল্যাপটপ এ কাজ করছে , রুপাঞ্জনা রান্না ঘরে , আজ আফরাজ রুপাঞ্জনার হাতের রান্না খাবে তাই রুপাঞ্জনা রান্নায় ব্যস্ত , এমন সময় আফরাজের মোবাইল টা বেজে উঠলো ,
আফরাজের বুকের ভেতর টা ধক করে উঠলো
↓
_হ্যালো (আফরাজ)
_হ্যালো আফরাজ আমি শাখাওয়াত (শাখাওয়াত)
_হ্যা বল কেমন আছিস (আফরাজ)
_ভালো , আমার জান টা কেমন আছে রে , কোন খোজ খবর রেখেছিস (শাখাওয়াত)
_নাহ মানে , (আফরাজ)
_বুঝছি , তুই ওর কোন খোজ খবর রাখিস নাই , ওকে আমি কল দিলাম ও রিসিভ করলো না , মনির কাছে শুনলাম অফিসেও যায় নাই , তুই প্লিজ একটু দেখবি ওর কি হলো , (শাখাওয়াত)
↓
আফরাজ রুপাঞ্জনার মোবাইল হাতে নিয়ে দেখছে সত্যিই শাখাওয়াত তাকে অনেক গুলা কল করছে , কাল রাত থেকে এখন অবদি ।
↓
_হ্যালো দোস্ত , কিরে (শাখাওয়াত)
_হ্যালো বল , শুনছি (আফরাজ)
_তুই একটু ওর সাথে একটু যোগাযোগ করে দেখ তো দোস্ত প্লিজ (শাখাওয়াত)
_আচ্ছা , আমি তোকে জানাবো , তোর ফেসবুকে , কেমন (আফরাজ)
_ok thanks দোস্ত (শাখাওয়াত)
↓
ফোন রাখার পর , আফরাজ দুঃশ্চিন্তায় পরে গেলো , কি বলবে সে শাখাওয়াত কে , রুপাঞ্জনাকেই বা কি বলবে , এরই মাঝে রুপাঞ্জনার ডাক
↓
_আফরাজ খেতে আসো (রুপাঞ্জনা)
_আসছি (আফরাজ)
↓
খাভার টেবিলে আফরাজের গলা থেকে খাবার নামছে না ,
↓
_কি হলো , খাবার ভালো হয় নি (রুপাঞ্জনা)
_কই না তো , অনেক ভালো হয়েছে জান (আফরাজ)
_তাহলে , খাচ্ছো না কেন (রুপাঞ্জনা)
_খাচ্ছি তো (আফরাজ)
_আচ্ছা শুনো না ফুপ্পিজান কেমন আছে , আমার ওনাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে (রুপাঞ্জনা)
_ভালো আছে , আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করো , তারপর তো আমার বাসায় যাবে তখন দেখা করতে পারবা (আফরাজ)
_হুম , (রুপাঞ্জনা)
↓
এমন সময় রুপাঞ্জনার কল আসে , আফরাজের সামনেই বলল
↓
_আফরাজ স্যার কল দিল কেন , কাল রাত থেকে তো কল করতেছে , ব্যাপার কি ,
হ্যালো আসসালামু আলাইকুম স্যার (রুপাঞ্জনা)
_ওয়ালাইকুম আসসসালাম , কেমন আছো শাহরীন (শাখাওয়াত)
_ভালো আপনি (রুপাঞ্জনা)
_ভালো , তুমি কি অসুস্থ (শাখাওয়াত)
_নাহ তো কেন (রুপাঞ্জনা)
_নাহ মানে মনি বলল আজ অফিসে গেলে না (শাখাওয়াত)
_ওহ বাসায় কাজ ছিল তো তাই , (রুপাঞ্জনা)
_ওহ (শাখাওয়াত)
_আচ্ছা স্যার কিছু কি বলবেন তাহলে রাখতাম , কাজ আছে (রুপাঞ্জনা)
_নাহ কিছু বলবো না , রাখছি (শাখাওয়াত)
_হুম , ok bye (রুপাঞ্জনা)
↓
আফরাজ এতক্ষন রূপের দিকে তাকিয়ে ছিল । খুব বিরক্ত দেখাচ্ছিল তাকে শাখাওয়াতের সাথে কথা বলার সময় । এই অবস্থায় আফরাজ কিভাবে তাকে শাখাওয়াতের কথা বলবে ।
↓
দেখতে দেখতে ২ মাস ভালোই কাটে তাদের , ১ বছরের সব মান অভিমান সব ঝেড়ে ফেলে দেয় রুপাঞ্জনা । খুব যে ভালোবাসে আর স্বামীকে সে । আগের মতো হাসি খুশি থাকে । আর আফরাজের মনে ভয় টা থেকেই যাচ্ছে , শাখাওয়াতকে কি বলবে সে । বুঝেই পাচ্ছে না সে । রুপাঞ্জনার অফিস আর আফরাজের কোর্ট , দুইজন সারাদিন ব্যস্ত , আর সন্ধ্যার পর দুইজনেই ভালোবাসায় মেতে থাকে ।
↓
আড়াই মাস পর ,
আজ শাখাওয়াত দেশে ফেরে , ফিরেই আফরাজের সাথে দেখা করে ,
↓
সামনে অনেক কিছু ঘটতে চলেছে , যার জন্য রুপাঞ্জনা তৈরী ছিল না , রুপাঞ্জনা তো জানতই না যে তাকে নিয়ে এতো কিছু চলছে দুই বন্ধুর মাঝে , এইখানে ভুল টা আফরাজেরই , সে আগেই বলে দিতে পারতো রুপাঞ্জনাকে ।
↓
_হ্যালো আফরাজ (রুপাঞ্জনা)
_বলো জান , (আফরাজ)
_কোথায় তুমি , আজ যে আসলে না (রুপাঞ্জনা)
_জান আজকে একটু ব্যস্ত ছিলাম গো (আফরাজ)
_ওহ আচ্ছা কোন ব্যাপার না , আচ্ছা শুনো না স্যার তো কাল party দিলো , তুমি কি আসবা ? (রুপাঞ্জনা)
_হুম আসবো , এতো করে বলল , তুমি যাবে না (আফরাজ)
_তুমি বললে যাবো , আর সত্যি বলতে কি আমার এইসব Party একদম ভালো লাগে না , (রুপাঞ্জনা)
_আচ্ছা যেও , সে তো তোমার বস (আফরাজ)
_আফরাজ তুমি কি ওনাকে বলেছো আমি তোমার wife (রপাঞ্জনা)
_নাহ , তবে বলবো (আফরাজ)
_তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে আফরাজ (রুপাঞ্জনা)
_কিহ শুনি (আফরাজ)
_কাল বলবো , party পরে (রুপাঞ্জনা)
_ok , (আফরাজ)
_আমায় বাসায় নিবে কবে আফরাজ (রুপাঞ্জনা)
_কাল জান ,কাল কেই তোমাকে নিয়ে আসবো (আফরাজ)
_ওহ ঠিক আছে , এখন রাখছি , ঘুমাবো (রুপাঞ্জনা)
_রুপাঞ্জনা (আফরাজ)
_হুম কিছু বলবা (রুপাঞ্জনা)
_তুমি ঠিক আছো তো (আফরাজ)
_হুম ঠিক আছি তো , কেন (রুপাঞ্জনা)
_নাহ এমনি জিজ্ঞাসা করলাম আর কি (আফরাজ)
_ওহ (রুপাঞ্জনা)
_রুপাঞ্জনা (আফরাজ)
_হুম বলো (রুপাঞ্জনা)
_রুপাঞ্জনা আমি তোমাকে হারাতে চাই না (আফরাজ)
_কি বলছো তুমি , আমি কেন হারাবো , আমি কোথাও হারাবো না বুঝলেন উকিল সাহেব এখন ঘুমান (রুপাঞ্জনা)
_ঘুম আসছে না , একটু কথা বলি , যদি আপত্তি না থাকে (আফরাজ)
_কি হয়েছে আফরাজ , তোমার কি কিছু হয়েছে (রুপাঞ্জনা)
_নাহ তো , এমনিতেই , কথা বলতে ইচ্ছে হলো আর কি (আফরাজ)
_ওহ আচ্ছা , (রুপাঞ্জনা)
↓
তারপর অনেক্ষণ তারা কথা বলল , রাতের শেষ প্রহরে ফোন রাখলো আফরাজ ।
↓
কাল party তে শাখাওয়াতে কে বলে দিবো যে রুওয়াঞ্জনাই আমার স্ত্রী । আর কালই রুপাঞ্জনাকে আমি নিয়ে আসবো আমার বাসায় । আমি আর ওকে একা রাখবো না ওইখানে । আর আমি ওকে ছাড়াও থাকিতে পারবো না , ব্যাস অনেক হয়েছে , কাল ক্লিয়ার করে বলে দিবো শাখাওয়াতকে যে শাহরীনই আমার বউ । এখন শুধু কালকের অপেক্ষা , (আফরাজ)
↓
↓
কি হবে কাল party তে , কে জানে , শাখাওয়াত হঠাৎ করে party রাখতে গেলো কেন , নিঃশ্চয়ই কোন কারন আছে , কারন ছাড়া তো আর কেউ এমনি এমনি party দিবে না , কিন্তু এখানে শাখাওয়াতের কিসের এমন দরকার পরলো যে একেবারে party দিয়ে দিল । নাকি নতুন করে আফরাজ আর রুপাঞ্জনাকে আলাদা হয়ে যেতে হবে , এতো দিন আলাদা থাকার পরে এখন যদি আবার আলাদা হয়ে যায় তখন কিভাবে মেনে নিবে রুপাঞ্জনা , আফরাজ তো রুপাঞ্জনাকে অনেক ভালোবাসে আর রুপাঞ্জনাও তো আফরাজকে পাগলের মতন ভালোবাসে ।
দেখা যাক কি হতে চলেছে , কি হবে ?
↓
সেই অবদি চোখ রাখুন পরবর্তী অংশের দিকে । আর ভালো থাকুন , সবাইকে ভালো রাখুন ।
↓
↓
↓
To be continued.........
Monday, October 15, 2018
ভালোবাসার গল্প - ভাবনার গহীনে পার্ট 21
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
আরো নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz